ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শপথ নিয়েছেন পুতিন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় Logo অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হবে- তথ্যমন্ত্রী Logo মানব পাচারের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি Logo রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী Logo ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে রাফা, মুহুর্মুহু হামলা Logo শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের ব‍্যাপক গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত Logo কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারিভাবে ধান, চাল, গম ক্রয়ের উদ্বোধন Logo শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় প্রান গেল গৃহবধুর,আহত ৩ Logo শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসভবনের সামনে বোমা বিস্ফোরণ Logo বর্ষা কিংবা বজ্রপাতে কই মাছ কেন মাটির উপরে উঠে আসে

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সাহেদ হাইকোর্টে খালাস

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

অস্ত্র মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ সাহেদের করা আপিল মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। অপরদিকে সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও এডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। পরে শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি আসল নয়। সেখানে লেখা মেড ইন জাপান ও চায়না। এরকম অস্ত্র কখনো তৈরি হতে পারে না। আর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সাহেদ যে সিটে বসেন তার সামনের সিট থেকে। গাড়ির চাবি উদ্ধার করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয় থেকে। বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ যথাযথভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আদালত তার আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।

নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় করা মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া অস্ত্র আইনের ১৯ (এফ) ধারায় তার ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত তার রায়ে উল্লেখ করেন।

২০২০ সালের ১৫ই জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। একই বছরের ৬ই জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায়ও অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ই জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

ওই বছরের ৬ই জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ই জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শপথ নিয়েছেন পুতিন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয়

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সাহেদ হাইকোর্টে খালাস

আপডেট সময় ০১:১৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

অস্ত্র মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ সাহেদের করা আপিল মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। অপরদিকে সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও এডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। পরে শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি আসল নয়। সেখানে লেখা মেড ইন জাপান ও চায়না। এরকম অস্ত্র কখনো তৈরি হতে পারে না। আর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সাহেদ যে সিটে বসেন তার সামনের সিট থেকে। গাড়ির চাবি উদ্ধার করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয় থেকে। বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ যথাযথভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আদালত তার আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।

নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় করা মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া অস্ত্র আইনের ১৯ (এফ) ধারায় তার ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত তার রায়ে উল্লেখ করেন।

২০২০ সালের ১৫ই জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। একই বছরের ৬ই জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায়ও অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ই জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

ওই বছরের ৬ই জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ই জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।