ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা নির্বাচন লামায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

সারা দেশে ৬ষ্ঠ   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে   জমজমাট প্রচারণা। এ নির্বাচনে কে কোন পদে লড়বেন- এমন আলোচনা এখন বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার সর্বত্র। এবার সারা দেশে ভোটগ্রহণ হবে চার ধাপে। কোন ধাপে, কোন উপজেলায় কবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে তারও একটি তালিকা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী জেলার বৃহত্তর লামা উপজেলায় মে মাসের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এ তারিখ ঘোষণার পরপর নির্বাচনকে ঘিরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস, কেউবা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে গণসংযোগ, আবার আড্ডা-আলোচনাসহ নানান পরিবেশে প্রার্থিতার জানান দিয়ে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে নিচ্ছেন। সম্ভাব্য দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একজন   হলেন- উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এ ছাড়া দলীয় প্রতীক না দেয়ার   সিদ্ধান্তে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্মতি দিলে উপজেলা বিএনপি’র মো. জাকের হোসেন মজুমদার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন মজুমদারের বড় ছেলে।

দলীয়ভাবে উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতিও তিনি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশের কথা শোনা যাচ্ছে। তিনি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি। আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লিটন দাশের সহধর্মিণী তিনি। আরেক প্রার্থী হলেন পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শীলের তুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৈশালী বড়ুয়া।

তার স্বামী উজ্জ্বল বড়ুয়া ঔষধ ব্যবসায়ী ও পৌর আওয়মী লীগের সহ-সভাপতি। কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং গ্রামের সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারের দ্বিতীয় মেয়ে বৈশালী বড়ুয়া। তার পিতা অরবিন্দ বড়ুয়া উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আরেক প্রার্থী পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম। তিনি উপজেলার ইয়াংছামুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজেম উদ্দিনের সহধর্মিণীও।  অপরদিকে  উপজেলা শহরের  ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কান্তি  দাশের সহধর্মিণী শিল্পী দাশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাশের মেয়ে তিনি। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উপজেলা শাখার সভাপতি শারাবান তহুরাও নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন আবারো নির্বাচন করবেন বলে শোনা গেছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মো. আবু তাহের মিয়ার ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি। এ পদে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মদ ইসমাইলের ছোটভাই নাছির উদ্দিনের নামও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় উঠে এসেছে। উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাছির উদ্দিন। আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী মিয়ার ছেলে আব্বাস উদ্দিন সেলিম। উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকও তিনি। এ ছাড়া পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে ওসমান গনি শিমুলও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় পার্টির লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সমন্বয়ক। এদিকে, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ বলেছেন, চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী না থাকায় উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা  জামালকেই পুনরায়  দলীয়ভাবে মনোনীত করা  হয়। তবে পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। দল থেকে যে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন।

অপরদিকে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. আমির হোসেন জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পাতানো এ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিএনপি। কাজেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কোনো নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, এবার চার ধাপে   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত   নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে লামা উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ভোট গ্রহণে উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রস্তুত।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা নির্বাচন লামায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ

আপডেট সময় ০৬:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সারা দেশে ৬ষ্ঠ   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে   জমজমাট প্রচারণা। এ নির্বাচনে কে কোন পদে লড়বেন- এমন আলোচনা এখন বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার সর্বত্র। এবার সারা দেশে ভোটগ্রহণ হবে চার ধাপে। কোন ধাপে, কোন উপজেলায় কবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে তারও একটি তালিকা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী জেলার বৃহত্তর লামা উপজেলায় মে মাসের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এ তারিখ ঘোষণার পরপর নির্বাচনকে ঘিরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস, কেউবা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে গণসংযোগ, আবার আড্ডা-আলোচনাসহ নানান পরিবেশে প্রার্থিতার জানান দিয়ে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে নিচ্ছেন। সম্ভাব্য দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একজন   হলেন- উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এ ছাড়া দলীয় প্রতীক না দেয়ার   সিদ্ধান্তে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্মতি দিলে উপজেলা বিএনপি’র মো. জাকের হোসেন মজুমদার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন মজুমদারের বড় ছেলে।

দলীয়ভাবে উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতিও তিনি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশের কথা শোনা যাচ্ছে। তিনি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি। আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লিটন দাশের সহধর্মিণী তিনি। আরেক প্রার্থী হলেন পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শীলের তুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৈশালী বড়ুয়া।

তার স্বামী উজ্জ্বল বড়ুয়া ঔষধ ব্যবসায়ী ও পৌর আওয়মী লীগের সহ-সভাপতি। কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং গ্রামের সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারের দ্বিতীয় মেয়ে বৈশালী বড়ুয়া। তার পিতা অরবিন্দ বড়ুয়া উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আরেক প্রার্থী পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম। তিনি উপজেলার ইয়াংছামুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজেম উদ্দিনের সহধর্মিণীও।  অপরদিকে  উপজেলা শহরের  ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কান্তি  দাশের সহধর্মিণী শিল্পী দাশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাশের মেয়ে তিনি। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উপজেলা শাখার সভাপতি শারাবান তহুরাও নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন আবারো নির্বাচন করবেন বলে শোনা গেছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মো. আবু তাহের মিয়ার ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি। এ পদে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মদ ইসমাইলের ছোটভাই নাছির উদ্দিনের নামও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় উঠে এসেছে। উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাছির উদ্দিন। আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী মিয়ার ছেলে আব্বাস উদ্দিন সেলিম। উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকও তিনি। এ ছাড়া পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে ওসমান গনি শিমুলও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় পার্টির লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সমন্বয়ক। এদিকে, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ বলেছেন, চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী না থাকায় উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা  জামালকেই পুনরায়  দলীয়ভাবে মনোনীত করা  হয়। তবে পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। দল থেকে যে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন।

অপরদিকে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. আমির হোসেন জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পাতানো এ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিএনপি। কাজেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কোনো নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, এবার চার ধাপে   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত   নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে লামা উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ভোট গ্রহণে উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রস্তুত।