থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে কাল (বুধবার) ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনেও যোগ দেবেন তিনি। সরকার প্রধানের ব্যাংকক সফরে দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৫টি দলিল সইয়ের প্রস্তুতি রয়েছে। সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর নিয়ে মন্ত্রণালয় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আয়োজন মিলে সরকার প্রধানের ব্যাংকক সফর হবে ৫ দিনের। সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি সম্মতিপত্র সই হবে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে থাই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর আগে, জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। ১৯৭২ সালে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ব্যাংককে এটাই হবে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। এ উপলক্ষে গত সপ্তাহে যৌথ বিবৃতি প্রচার করে ঢাকা ও ব্যাংকক। তাতে বলা হয়, আসন্ন সফরের মধ্যদিয়ে দুই বন্ধু দেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হবে। এটি হবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ২৬শে এপ্রিল ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্ত বাণিজ্যসংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা রয়েছে। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের আগে ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।

২৫শে এপ্রিল বক্তৃতা দেবেন ইউএনএসকাপের অধিবেশনে। একইদিন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং এসকাপের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাঁচ দিনের এই সফরে থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানী সুথিদার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সরকার প্রধানের সফরসঙ্গী হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ‌মেদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২৯শে এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।