ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিরনিদ্রায় ওয়ালিউল হক রুমি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৮:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

তিনি ছিলেন জাত অভিনেতা। অভিনয়ে মানুষকে হাসাতেন, আবার কাঁদাতেন। নানা আবেগে ভাসাতেন। কিন্তু অবশেষে সেই অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি সবাইকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গতকাল ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি …রাজিউন)। মাসখানেক আগে হঠাৎ করেই কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। এরপর ভারতে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেছেন এই গুণী অভিনেতা। গতকাল সকালে খিলগাঁওয়ের শহীদবাগ জামে মসজিদে ওয়ালিউল হক রুমির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর বরগুনায় বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় অভিনেতাকে। বরগুনায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক। মা হামিদা হক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন রুমি। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। ওয়ালিউল হক রুমি দৈনিক ইত্তেফাক’র সম্পাদনা সহকারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিন দশকের অভিনয় জীবনে অসংখ্য নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে গেছেন। ১৯৮৮ সালে রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্যদিয়ে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয়। ২০০৯ সালে ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন রুমি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে- ‘সাজেশন সেলিম’, ‘বোকাসোকা তিনজন’, ‘মেকআপ ম্যান’, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘বাপবেটা দৌড়ের উপর’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘যমজ’, ‘রতনে রতন চিনে’, ‘সোনার শিকল’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘আকাশ চুরি’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি। গত ঈদের বেশ কয়েকটি নাটকেও দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। গত কয়েক বছর এই অভিনেতা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতে বেশি অভিনয় করে আসছিলেন। এ ভাষাতেই তিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন বেশ। বর্তমানে তার অভিনীত ‘বকুলপুর সিজন টু’ ধারাবাহিক নাটক দীপ্ত টিভিতে প্রচার হচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বিমানবন্দরে হাসি-কান্নার গল্প

চিরনিদ্রায় ওয়ালিউল হক রুমি

আপডেট সময় ১২:২৮:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

তিনি ছিলেন জাত অভিনেতা। অভিনয়ে মানুষকে হাসাতেন, আবার কাঁদাতেন। নানা আবেগে ভাসাতেন। কিন্তু অবশেষে সেই অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি সবাইকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গতকাল ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি …রাজিউন)। মাসখানেক আগে হঠাৎ করেই কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। এরপর ভারতে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেছেন এই গুণী অভিনেতা। গতকাল সকালে খিলগাঁওয়ের শহীদবাগ জামে মসজিদে ওয়ালিউল হক রুমির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর বরগুনায় বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় অভিনেতাকে। বরগুনায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক। মা হামিদা হক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন রুমি। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। ওয়ালিউল হক রুমি দৈনিক ইত্তেফাক’র সম্পাদনা সহকারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিন দশকের অভিনয় জীবনে অসংখ্য নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে গেছেন। ১৯৮৮ সালে রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্যদিয়ে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয়। ২০০৯ সালে ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন রুমি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে- ‘সাজেশন সেলিম’, ‘বোকাসোকা তিনজন’, ‘মেকআপ ম্যান’, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘বাপবেটা দৌড়ের উপর’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘যমজ’, ‘রতনে রতন চিনে’, ‘সোনার শিকল’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘আকাশ চুরি’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি। গত ঈদের বেশ কয়েকটি নাটকেও দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। গত কয়েক বছর এই অভিনেতা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতে বেশি অভিনয় করে আসছিলেন। এ ভাষাতেই তিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন বেশ। বর্তমানে তার অভিনীত ‘বকুলপুর সিজন টু’ ধারাবাহিক নাটক দীপ্ত টিভিতে প্রচার হচ্ছে।