ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৩

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ফেনীতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি হ্যাকার চক্র। থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযানে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চট্টগ্রাম জেলার চাঁন্দগাঁও থানার পাঠানিয়াগুদা এলাকার ইলিয়াস মেম্বারবাড়ীর মো. ইসমাইলের ছেলে মোহাম্মদ ইকবাল (৩৩), কক্সবাজার জেলার মহেষখালী থানার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সিকদারপাড়া এলাকার কুড়া মিয়ারবাড়ীর মো. জাকারিয়ার ছেলে আরিফ উল্লাহ (৪০) ও কক্সবাজার জেলার মহেষখালী থানার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালী মাইজপাড়া এলাকার নূর আহাম্মদের বাপেরবাড়ীর মোজাম্মেল হকের ছেলে রকিবুল হাসান ওরফে রাকিব (৩৪)।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ ইকবাল কৌশলে ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ করেছে মর্মে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা জানান, শহরের স্টেশন রোডের করিম স্পোর্টসের মালিক করিমুল হক ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করতেন। শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ব্র্যাক ব্যাংক শাখার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৬ই জানুয়ারি রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে একে একে চার ধাপে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। কে বা কারা টাকা হাতিয়ে নেয় জানতে না পেরে পরদিন ব্যাংকে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে ঘটনা শুনে তারা বিস্মিত হয়। এ ঘটনায় অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ধাপে ধাপে অপর সদস্যদেরও শনাক্ত করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম জানান, যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছেন তদন্তে এ চক্রের চারজনের নাম পেয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি হ্যাকার চক্রের সদস্য ইকবালকে গ্রেপ্তর করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মুখ খোলেনি ইকবাল।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেনীতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৩

আপডেট সময় ০৬:০০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ফেনীতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি হ্যাকার চক্র। থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযানে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চট্টগ্রাম জেলার চাঁন্দগাঁও থানার পাঠানিয়াগুদা এলাকার ইলিয়াস মেম্বারবাড়ীর মো. ইসমাইলের ছেলে মোহাম্মদ ইকবাল (৩৩), কক্সবাজার জেলার মহেষখালী থানার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সিকদারপাড়া এলাকার কুড়া মিয়ারবাড়ীর মো. জাকারিয়ার ছেলে আরিফ উল্লাহ (৪০) ও কক্সবাজার জেলার মহেষখালী থানার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালী মাইজপাড়া এলাকার নূর আহাম্মদের বাপেরবাড়ীর মোজাম্মেল হকের ছেলে রকিবুল হাসান ওরফে রাকিব (৩৪)।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ ইকবাল কৌশলে ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ করেছে মর্মে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা জানান, শহরের স্টেশন রোডের করিম স্পোর্টসের মালিক করিমুল হক ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করতেন। শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ব্র্যাক ব্যাংক শাখার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৬ই জানুয়ারি রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে একে একে চার ধাপে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। কে বা কারা টাকা হাতিয়ে নেয় জানতে না পেরে পরদিন ব্যাংকে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে ঘটনা শুনে তারা বিস্মিত হয়। এ ঘটনায় অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ধাপে ধাপে অপর সদস্যদেরও শনাক্ত করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম জানান, যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছেন তদন্তে এ চক্রের চারজনের নাম পেয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি হ্যাকার চক্রের সদস্য ইকবালকে গ্রেপ্তর করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মুখ খোলেনি ইকবাল।