ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে ভুটানের রাজা

জায়গাটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

রাজার আগমন ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভুটানের বিনিয়োগের খবরে উচ্ছ্বসিত কুড়িগ্রামের ধরলা পাড়ের মানুষ। তারা মনে করেন শিল্পকারখানাবিহীন অনগ্রসর কুড়িগ্রামকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজার বিশেষ আগ্রহে এখানে দ্রুতই শিল্পকারখানা স্থাপন   হবে। কর্মসংস্থান হবে। রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক জানান, ‘জায়গাটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। আমি কাজ শুরুর সময় আবার কুড়িগ্রামে আসবো।’ কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান ও সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বাণিজ্য সম্ভাবনা ও পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়াতে সীমান্তবর্তী কুড়িগ্রামে হতে যাচ্ছে ভুটানিজ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল।

জায়গা দেখেছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখেছেন। সবকিছু মিলে উনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ভুটানের রাজা প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্প স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি দু’দেশের যৌথ সমীক্ষা শেষে দ্রুত এই কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন। ভুটানের রাজা শিগগিরই একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠাবেন।

রাজা বলেছেন, ‘এই এলাকার মানুষের কী ধরনের চাহিদা, কী ধরনের শিল্প স্থাপন করলে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হবে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’ এ ব্যাপারে সমীক্ষা পরিচালনা করে দ্রুত তা ভুটানকে জানিয়ে দেয়া হবে। রাজার সফর শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের ধরলা নদীর পূর্ব পাড়ে মাধবরাম এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন ভুটানের রাজা। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে রাজাকে অবহিত করেন। জবাবে রাজা দ্রুত সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এই এলাকায় শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন জানান, ২০২৩ সালের ৬ই মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের রাজার সাক্ষাতের সময় এই বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশে শ্রম সস্তা, বেজা’য় বিনিয়োগ করলে সরকার কিছু ইনসেনটিভ দেয়, ভুটান থেকে শিল্পের কাঁচামাল এনে শিল্পায়ন অনেক লাভজনক হবে-এসব বিবেচনায় তারা এগিয়ে এসেছেন। এ ছাড়াও তিনি ইকোনমিক জোন এলাকায় এগ্রোবেজড ও মেনুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছেন।

ভুটানের রাজা বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর, এরপর সড়ক পথে কুড়িগ্রামে আসেন। অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবি’র পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। গার্ড অব অনার শেষে তিনি ভারতের আসাম রাজ্যের গোলকগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভুটান চলে যান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-২ আসনের  সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে ভুটানের রাজা

জায়গাটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে

আপডেট সময় ০৫:৩২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রাজার আগমন ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভুটানের বিনিয়োগের খবরে উচ্ছ্বসিত কুড়িগ্রামের ধরলা পাড়ের মানুষ। তারা মনে করেন শিল্পকারখানাবিহীন অনগ্রসর কুড়িগ্রামকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজার বিশেষ আগ্রহে এখানে দ্রুতই শিল্পকারখানা স্থাপন   হবে। কর্মসংস্থান হবে। রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক জানান, ‘জায়গাটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। আমি কাজ শুরুর সময় আবার কুড়িগ্রামে আসবো।’ কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান ও সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বাণিজ্য সম্ভাবনা ও পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়াতে সীমান্তবর্তী কুড়িগ্রামে হতে যাচ্ছে ভুটানিজ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল।

জায়গা দেখেছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখেছেন। সবকিছু মিলে উনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ভুটানের রাজা প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্প স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি দু’দেশের যৌথ সমীক্ষা শেষে দ্রুত এই কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন। ভুটানের রাজা শিগগিরই একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠাবেন।

রাজা বলেছেন, ‘এই এলাকার মানুষের কী ধরনের চাহিদা, কী ধরনের শিল্প স্থাপন করলে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হবে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’ এ ব্যাপারে সমীক্ষা পরিচালনা করে দ্রুত তা ভুটানকে জানিয়ে দেয়া হবে। রাজার সফর শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের ধরলা নদীর পূর্ব পাড়ে মাধবরাম এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন ভুটানের রাজা। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে রাজাকে অবহিত করেন। জবাবে রাজা দ্রুত সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এই এলাকায় শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন জানান, ২০২৩ সালের ৬ই মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের রাজার সাক্ষাতের সময় এই বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশে শ্রম সস্তা, বেজা’য় বিনিয়োগ করলে সরকার কিছু ইনসেনটিভ দেয়, ভুটান থেকে শিল্পের কাঁচামাল এনে শিল্পায়ন অনেক লাভজনক হবে-এসব বিবেচনায় তারা এগিয়ে এসেছেন। এ ছাড়াও তিনি ইকোনমিক জোন এলাকায় এগ্রোবেজড ও মেনুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছেন।

ভুটানের রাজা বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর, এরপর সড়ক পথে কুড়িগ্রামে আসেন। অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবি’র পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। গার্ড অব অনার শেষে তিনি ভারতের আসাম রাজ্যের গোলকগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভুটান চলে যান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-২ আসনের  সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।