ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ও সার্কুলার অনুসারে সহকারী শিক্ষক পদে ২০১৮ এবং ২০২০ সালে লিখিত পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জনকারী ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।  রোববার পৃথক চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রিট আবেদনকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।

তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। রায়ের পরে এক প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আদালত বলেছেন রায় পাওয়া এই ২৮৫ জনকে ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে। এই রায় একটি যুগান্তকারী রায়।

 

আইনজীবীদের দেয়া তথ্য মতে, ২০২০ ও ২০২২ সালে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়, যেখানে কোনো প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুযোগ দেয়া হয়নি। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ১৯৯৭ সালের ১৭ই মার্চ জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করার বিধান রয়েছে। ২০১৯ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার ৮-এর ২ উপবিধি অনুযায়ী মহিলা, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে ওই কোটাসংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে।

২০১৩ সালের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের ধারা ৩৫ এর ১ অনুসারে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী উপযোগী কোনো কর্মে নিযুক্ত হতে কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বঞ্চিত বা তার প্রতি বৈষম্য করা বা তাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। ২০১৮ ও ২০২০ সালে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য রিট আবেদনকারী প্রার্থীরা আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন ও পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে ওই নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হলে সেখানে প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুযোগ দেয়া হয়নি বলে দেখা যায়। এ অবস্থায় ২০২২ ও ২০২৩ সালে পৃথক চারটি রিট করেন প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

আপডেট সময় ০২:৪৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ও সার্কুলার অনুসারে সহকারী শিক্ষক পদে ২০১৮ এবং ২০২০ সালে লিখিত পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জনকারী ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।  রোববার পৃথক চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রিট আবেদনকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।

তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। রায়ের পরে এক প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আদালত বলেছেন রায় পাওয়া এই ২৮৫ জনকে ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে। এই রায় একটি যুগান্তকারী রায়।

 

আইনজীবীদের দেয়া তথ্য মতে, ২০২০ ও ২০২২ সালে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়, যেখানে কোনো প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুযোগ দেয়া হয়নি। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ১৯৯৭ সালের ১৭ই মার্চ জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করার বিধান রয়েছে। ২০১৯ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার ৮-এর ২ উপবিধি অনুযায়ী মহিলা, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে ওই কোটাসংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে।

২০১৩ সালের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের ধারা ৩৫ এর ১ অনুসারে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী উপযোগী কোনো কর্মে নিযুক্ত হতে কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বঞ্চিত বা তার প্রতি বৈষম্য করা বা তাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। ২০১৮ ও ২০২০ সালে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য রিট আবেদনকারী প্রার্থীরা আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন ও পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে ওই নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হলে সেখানে প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুযোগ দেয়া হয়নি বলে দেখা যায়। এ অবস্থায় ২০২২ ও ২০২৩ সালে পৃথক চারটি রিট করেন প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা।