ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়. ভোগান্তি চরমে. নিয়ম শৃংখলা নেই রেল কর্তৃপক্ষের

এটা যাত্রীবাহী ট্রেন নাকি লোকাল বাস এমনি অবস্থা চলছে.বেনাপোল যশোর রেলওয়ে. কোন নিয়ম শৃংখলা নেই এখানে। ঘন্টার পর. পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।ট্রেন আসা যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকলেও যথা সময়ে আসে না ট্রেন। এ রুটে ১টি মাত্র ট্রেন দিনে ২বার আসা যাওয়া করে থাকেন।

যশোর থেকে ঝিকরগাছা. নাভারন ও বেনাপোল পযর্ন্ত ৩টি রেল ষ্টেশন রয়েছে। প্রথম ট্রেন যশোর থেকে বেনাপোল অভিমূখে নাভারন ষ্টেশনে  সকাল পৌনে ৯টায় আসার কথা থাকলেও. সেটি আসে ১০থেকে১১টা এবং এটি ফিরতি হিসেবে বেনাপোল থেকে যশোর অভিমুখে রওনা দেন এবং  নাভারন বা ঝিকরগাছায় পৌছায়  দুপুর ১২টার দিকে।  ২য় ট্রেনটি যশোর থেকে ছেড়ে বেলা পৌনে ২টার দিকে বেনাপোল আসার কথা থাকলেও সেটি আসে প্রায় ৩টার দিকে এবং সেটি নাভারন ও ঝিকরগাছায় ফেরে বিকাল অথবা সন্ধ্যার দিকে।  এমনকি নির্ধারিত সময়ের আগেও ট্রেন যাওয়া আসা করে থাকেন অনেক সময়।

ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা পড়েন চরম দূর্ভোগে। ট্রেন সময় মত না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় যাত্রী সাধারণের. আর যারা সময়তে আসেন তাদের তো অপেক্ষার পালা শেষ হয় না।
এই দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ট্রেনে উঠে দেখা যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়. পাশ ফিরার পথ বা জায়গা নেই। কোন বগীতে একশ আসন থাকলেও সেখানে আড়াইশ এর অধীক যাত্রী আবার কোন বগীতে ১৫০ আসন থাকলেও সেখানে তিনশরও অধীক যাত্রী বহন করতে দেখা যায়।  কম খরচে স্বস্তি দায়ক যাতায়াতের জন্য রেল পথকেই অনেকে বেছে নেন. কিন্তু এত যাত্রীর ভীড়ে সে যাত্রা আর স্বস্তির থাকে না বরং অস্বস্তির কারণ হয়ে দাড়ায়। সড়ক পথে লোকাল বাসেও এত ভীড় দেখা যায় না।
এই ভীড় ঠেলে ট্রেনে দায়িত্বরত টি টি বা সুপার ভাইজার যাত্রীদের নিকট থেকে টিকিট চেক করতে বা ভাড়া আদায় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই ভীড়ে সকল যাত্রীদের কাছে যেতে না পারলে সকল যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হয় না।  ফলে অসংখ্য ভাড়া অনাদায় থেকে যায়। আশানুরুপ ভাড়া আদায়ে ব‍্যর্থ হচ্ছে সুপার ভাইজার। যার ফলে লোকশান গুনতে হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষের। সরকারি ভাবে জনশ্রুতি আছে রেলওয়েতে লোকশান ও ভর্তূকি দিয়ে চালাতে হচ্ছে।
ট্রেনে অনেক সুবিধাবাদী যাত্রী আছে তারা ভাড়া না দেওয়ার ফান্দি খোঁজে।
সচেতন যাত্রীদের অভিমত. দিনে দুটি ট্রেন চলাচল করাই যাত্রীদের এত ভীড়। এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে যাত্রীদের ভীড় কমবে এবং সু শৃংখলা ভাবে টি টি ভাড়া আদায় করতে পারলে লোকশান কাটিয়ে উঠতে পারবে রেলওয়ে এবং লাভের মুখ দেখতে পারবে বলে মনে করেন  তারা। এই লাইনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে জোর দাবি জানান রেল কর্তৃপক্ষের কাছে যাত্রী সাধারণ।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেই চেয়ারম্যানকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়. ভোগান্তি চরমে. নিয়ম শৃংখলা নেই রেল কর্তৃপক্ষের

আপডেট সময় ১১:০৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
এটা যাত্রীবাহী ট্রেন নাকি লোকাল বাস এমনি অবস্থা চলছে.বেনাপোল যশোর রেলওয়ে. কোন নিয়ম শৃংখলা নেই এখানে। ঘন্টার পর. পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।ট্রেন আসা যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকলেও যথা সময়ে আসে না ট্রেন। এ রুটে ১টি মাত্র ট্রেন দিনে ২বার আসা যাওয়া করে থাকেন।

যশোর থেকে ঝিকরগাছা. নাভারন ও বেনাপোল পযর্ন্ত ৩টি রেল ষ্টেশন রয়েছে। প্রথম ট্রেন যশোর থেকে বেনাপোল অভিমূখে নাভারন ষ্টেশনে  সকাল পৌনে ৯টায় আসার কথা থাকলেও. সেটি আসে ১০থেকে১১টা এবং এটি ফিরতি হিসেবে বেনাপোল থেকে যশোর অভিমুখে রওনা দেন এবং  নাভারন বা ঝিকরগাছায় পৌছায়  দুপুর ১২টার দিকে।  ২য় ট্রেনটি যশোর থেকে ছেড়ে বেলা পৌনে ২টার দিকে বেনাপোল আসার কথা থাকলেও সেটি আসে প্রায় ৩টার দিকে এবং সেটি নাভারন ও ঝিকরগাছায় ফেরে বিকাল অথবা সন্ধ্যার দিকে।  এমনকি নির্ধারিত সময়ের আগেও ট্রেন যাওয়া আসা করে থাকেন অনেক সময়।

ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা পড়েন চরম দূর্ভোগে। ট্রেন সময় মত না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় যাত্রী সাধারণের. আর যারা সময়তে আসেন তাদের তো অপেক্ষার পালা শেষ হয় না।
এই দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ট্রেনে উঠে দেখা যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়. পাশ ফিরার পথ বা জায়গা নেই। কোন বগীতে একশ আসন থাকলেও সেখানে আড়াইশ এর অধীক যাত্রী আবার কোন বগীতে ১৫০ আসন থাকলেও সেখানে তিনশরও অধীক যাত্রী বহন করতে দেখা যায়।  কম খরচে স্বস্তি দায়ক যাতায়াতের জন্য রেল পথকেই অনেকে বেছে নেন. কিন্তু এত যাত্রীর ভীড়ে সে যাত্রা আর স্বস্তির থাকে না বরং অস্বস্তির কারণ হয়ে দাড়ায়। সড়ক পথে লোকাল বাসেও এত ভীড় দেখা যায় না।
এই ভীড় ঠেলে ট্রেনে দায়িত্বরত টি টি বা সুপার ভাইজার যাত্রীদের নিকট থেকে টিকিট চেক করতে বা ভাড়া আদায় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই ভীড়ে সকল যাত্রীদের কাছে যেতে না পারলে সকল যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হয় না।  ফলে অসংখ্য ভাড়া অনাদায় থেকে যায়। আশানুরুপ ভাড়া আদায়ে ব‍্যর্থ হচ্ছে সুপার ভাইজার। যার ফলে লোকশান গুনতে হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষের। সরকারি ভাবে জনশ্রুতি আছে রেলওয়েতে লোকশান ও ভর্তূকি দিয়ে চালাতে হচ্ছে।
ট্রেনে অনেক সুবিধাবাদী যাত্রী আছে তারা ভাড়া না দেওয়ার ফান্দি খোঁজে।
সচেতন যাত্রীদের অভিমত. দিনে দুটি ট্রেন চলাচল করাই যাত্রীদের এত ভীড়। এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে যাত্রীদের ভীড় কমবে এবং সু শৃংখলা ভাবে টি টি ভাড়া আদায় করতে পারলে লোকশান কাটিয়ে উঠতে পারবে রেলওয়ে এবং লাভের মুখ দেখতে পারবে বলে মনে করেন  তারা। এই লাইনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে জোর দাবি জানান রেল কর্তৃপক্ষের কাছে যাত্রী সাধারণ।