ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুধু শিল্প বিপ্লব নয়, গ্রামীণ ফুটবল উন্নয়নে হবে মাদক ও দারিদ্রতা মুক্ত

সাদা চোখে আমরা সাধারণত  কল কারখানা ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলে  ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে শিল্প বিপ্লবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন  দেখি কিন্তু দেশে কোন অঞ্চলে গ্রামীণ ফুটবলের  উন্নয়ন ঘটিয়েও মাদক ও দারিদ্রতা মুক্ত অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব । একটি বল ,একটি গ্রাম ফুটবল নগরী কুড়িগ্রাম এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজু নেতৃত্বে কুড়িগ্রামে ফুটবলের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ হচ্ছে । ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম থেকে তৈরি হওয়া ফুটবলাররা শুধু সারাদেশ নয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে । এতে করে কুড়িগ্রামবাসী যেমন গর্বিত হয়েছে , তেমনি দেশের মর্যাদা পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছে ।
একজন গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী   জালাল হোসেন লাইজু তার চিন্তা চেতনায় শুধুই  কুড়িগ্রামবাসির উন্নয়ন। যিনি স্বপ্ন দেখেন কুড়িগ্রাম হবে ফুটবলের নগরী এবং তা বাস্তবায়নের কাজ করছেন । তার পিতা রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা  মরহুম মনির হোসেন। যিনি ছিলেন  জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক বঙ্গবন্ধু প্রেমী ও ঘনিষ্ঠ জন। বঙ্গবন্ধু তাকে পাগলা মনি হিসেবে জানতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ডাকতেন মনিচাচা। ১৯৯৯ সালে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিজ্ঞেস করলেন  ” মনি চাচা আপনি আমার সরকারের কাছে কি চান?”ব্যাক্তিগত শত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তিনি চাইলেন ধরলা ব্রীজ।  এতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেন   এবং মাস খানেকের মধ্যেই চিঠি পাঠালেন এবং  জানালেন, শুষ্ক মৌসুমে ধরলা ব্রীজের কাজ শুরু হবে।
কাজ শুরু হয়েছিল, ধরলা ব্রীজ হয়েছে। আজ ধরলা ব্রিজের  কল্যাণে উত্তর জনপদের মানুষের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে । গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজুর  বড় বোন মরহুম লিলি বেগম  কুড়িগ্রাম মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন। যিনি   ইডেনের ছাত্রী ছিলেন ।
গ্রামীন ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজুর  সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে মালা পড়ানো ও বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে ওনার গলার মালা পড়ার। গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজু তিনি বর্তমানে ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি , লাইজু কিডস ফুটবল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা , কুড়িগ্রাম শেখ কামাল ফুটবল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ,  ক্রীড়া জগত পাঠক ফোরাম ঢাকা জেলার সভাপতি , বাংলাদেশ ফুটবল সাপোটারস ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ফুটবল উন্নয়ন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা , কুড়িগ্রাম ক্রীড়া উন্নয়ন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি , কুড়িগ্রাম মোহামেডান ফুটবল ক্লাব একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, এফ সি উত্তর বঙ্গ তৃতীয় বিভাগ দল ঢাকার সভাপতি, জারা গ্রীন ভয়েস কিশোর বাংলা ক্লাব তৃতীয় বিভাগ দল ঢাকার সেক্রেটারি পদে রয়েছেন ।
গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজুর প্রত্যাশা  কুড়িগ্রামে ফুটবলের একটা ছোট্ট বিকেএসপি অথবা সুবিধাবঞ্চিত ফুটবলার ডেভলপমেন্ট জোন হোক। এখানে প্রচুর দরিদ্র কিশোর তরুন ফুটবলার আছে তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট খালি জায়গা বরাদ্দ করে একটি সুবিধাবঞ্চিত ফুটবলার উন্নয়ন জোন  তৈরী করে দিলে  যেমন বেকার সমস্যার সমাধান হবে তেমনি বিভিন্ন খারাপ পথ হতে বাচ্চারা সুপথে পরিচালিত হবে।
ধরলা নদীর চারিদিকে হাজারো অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশু,কিশোর,তরুন ফুটবলাররা এমন একটি জোন এর অপেক্ষায় আছে। কুড়িগ্রামের ক্ষুদে ফুটবলারদের উন্নয়নে তিনি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেই চেয়ারম্যানকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

শুধু শিল্প বিপ্লব নয়, গ্রামীণ ফুটবল উন্নয়নে হবে মাদক ও দারিদ্রতা মুক্ত

আপডেট সময় ০২:১৯:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
সাদা চোখে আমরা সাধারণত  কল কারখানা ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলে  ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে শিল্প বিপ্লবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন  দেখি কিন্তু দেশে কোন অঞ্চলে গ্রামীণ ফুটবলের  উন্নয়ন ঘটিয়েও মাদক ও দারিদ্রতা মুক্ত অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব । একটি বল ,একটি গ্রাম ফুটবল নগরী কুড়িগ্রাম এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজু নেতৃত্বে কুড়িগ্রামে ফুটবলের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ হচ্ছে । ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম থেকে তৈরি হওয়া ফুটবলাররা শুধু সারাদেশ নয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে । এতে করে কুড়িগ্রামবাসী যেমন গর্বিত হয়েছে , তেমনি দেশের মর্যাদা পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছে ।
একজন গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী   জালাল হোসেন লাইজু তার চিন্তা চেতনায় শুধুই  কুড়িগ্রামবাসির উন্নয়ন। যিনি স্বপ্ন দেখেন কুড়িগ্রাম হবে ফুটবলের নগরী এবং তা বাস্তবায়নের কাজ করছেন । তার পিতা রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা  মরহুম মনির হোসেন। যিনি ছিলেন  জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক বঙ্গবন্ধু প্রেমী ও ঘনিষ্ঠ জন। বঙ্গবন্ধু তাকে পাগলা মনি হিসেবে জানতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ডাকতেন মনিচাচা। ১৯৯৯ সালে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিজ্ঞেস করলেন  ” মনি চাচা আপনি আমার সরকারের কাছে কি চান?”ব্যাক্তিগত শত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তিনি চাইলেন ধরলা ব্রীজ।  এতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেন   এবং মাস খানেকের মধ্যেই চিঠি পাঠালেন এবং  জানালেন, শুষ্ক মৌসুমে ধরলা ব্রীজের কাজ শুরু হবে।
কাজ শুরু হয়েছিল, ধরলা ব্রীজ হয়েছে। আজ ধরলা ব্রিজের  কল্যাণে উত্তর জনপদের মানুষের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে । গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজুর  বড় বোন মরহুম লিলি বেগম  কুড়িগ্রাম মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন। যিনি   ইডেনের ছাত্রী ছিলেন ।
গ্রামীন ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজুর  সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে মালা পড়ানো ও বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে ওনার গলার মালা পড়ার। গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজু তিনি বর্তমানে ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি , লাইজু কিডস ফুটবল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা , কুড়িগ্রাম শেখ কামাল ফুটবল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ,  ক্রীড়া জগত পাঠক ফোরাম ঢাকা জেলার সভাপতি , বাংলাদেশ ফুটবল সাপোটারস ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ফুটবল উন্নয়ন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা , কুড়িগ্রাম ক্রীড়া উন্নয়ন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি , কুড়িগ্রাম মোহামেডান ফুটবল ক্লাব একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, এফ সি উত্তর বঙ্গ তৃতীয় বিভাগ দল ঢাকার সভাপতি, জারা গ্রীন ভয়েস কিশোর বাংলা ক্লাব তৃতীয় বিভাগ দল ঢাকার সেক্রেটারি পদে রয়েছেন ।
গ্রামীণ ফুটবল বিপ্লবী জালাল হোসেন লাইজুর প্রত্যাশা  কুড়িগ্রামে ফুটবলের একটা ছোট্ট বিকেএসপি অথবা সুবিধাবঞ্চিত ফুটবলার ডেভলপমেন্ট জোন হোক। এখানে প্রচুর দরিদ্র কিশোর তরুন ফুটবলার আছে তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট খালি জায়গা বরাদ্দ করে একটি সুবিধাবঞ্চিত ফুটবলার উন্নয়ন জোন  তৈরী করে দিলে  যেমন বেকার সমস্যার সমাধান হবে তেমনি বিভিন্ন খারাপ পথ হতে বাচ্চারা সুপথে পরিচালিত হবে।
ধরলা নদীর চারিদিকে হাজারো অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশু,কিশোর,তরুন ফুটবলাররা এমন একটি জোন এর অপেক্ষায় আছে। কুড়িগ্রামের ক্ষুদে ফুটবলারদের উন্নয়নে তিনি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।