ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেতাদের বৈঠক

সিলেট আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধী ছিল না, এখনো নেই। সিলেট আওয়ামী লীগ ইউনাইটেড, ঐক্যবদ্ধ। সাংবাদিকরা কেবল আমাদের মধ্যে দূরত্ব দেখান। কিন্তু আমরা সেটি দেখি না।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিলেট আওয়ামী লীগের আমরা সব নেতারা একসঙ্গে দেখা করেছি। প্রধানমন্ত্রীকে আমি সিলেট নগরীর হকার পুনর্বাসনসহ নগরের কাজের অগ্রগতি জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এতে খুশি হয়েছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সিলেটের মানুষের স্বার্থে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।’ সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন- গতকাল দুপুরে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের চার নেতা জেলার সভাপতি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, নগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও নগর সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গতকাল দুপুরে সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি এডভোকেট রণজিৎ সরকার।

নেতারা জানিয়েছেন- পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাৎ পর্ব থাকায় সিলেট জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের চার নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করার সুযোগ পান। এ সময় তারা সিলেটে দলের অবস্থান, দলের কার্যক্রম, জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেন।

একইসঙ্গে সিলেট অঞ্চলের চলমান উন্নয়ন কাজে আরও গতি আনতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবদার করেন। উন্নয়নের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে তদারকি করার অনুরোধ জানান সিলেটের নেতারা। প্রসঙ্গে উঠে আসে; ঢাকা-সিলেট ৬ লেন কাজ, এয়ারপোর্টের উন্নয়ন কাজসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প। এ সময় সিলেটের নেতাদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন- উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করা হবে। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান। পাশাপাশি মানুষের কাছে যাতে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে সে ব্যাপারে কাজ করার জন্য তিনি সিলেটের নেতাদের নির্দেশ দেন।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এটি ছিল আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য গত মঙ্গলবার অনুমতি চাই। এরপর আমাদের গতকাল দুপুরে দেখা করার অনুমতি দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে আমরা সিলেটের অন্য নেতাদের পাই। তবে; প্রথমে সিলেট জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। পরে অবশ্য আমাদের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি এডভোকেট রণজিৎ সরকার গিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। এবং আমরা একসঙ্গে ফটো তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এসেছি।’ সিলেট জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা জানিয়েছেন- সিলেট আওয়ামী লীগে এখন বহু ভাগে বিভক্তি দেখা দিচ্ছে। এই বিভক্তিতে পুড়তে শুরু করেছে সিলেট আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে নগর ও জাতীয় নির্বাচনে নেতাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার কারণে এখন সেই দূরত্ব ক্রমেই দানা বাঁধছে। আর এই অবস্থায় জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এছাড়া; সিলেটের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বক্তব্য তুলে ধরার প্রয়োজনীতা ছিল। এ কারণে জেলা ও নগর নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সব দিক না পারলেও বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তাও চেয়েছেন। আর নগরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামানও। বেরিয়ে আসার পর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট আওয়ামী লীগকে ইউনাইটেড মনে করলেও জেলা ও নগর নেতাদের ভাষ্যে সেটি পরিলক্ষিত হয়নি। মেয়রের উপস্থিতির কারণে সিলেটের নেতারা বিব্রত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন অনেকেই। এই বিব্রত হওয়ার বিষয়টি নেতারা অবশ্য প্রকাশ করেননি।

সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন জানিয়েছেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেছিলাম। মাঝখানে একদিন সময় পেয়েও যেতে পারিনি। গত মঙ্গলবার ফের সাক্ষাতের চেষ্টা করি। গতকাল সময় পেয়ে আমার দুপুরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের কাছে দলীয় ও ব্যক্তিগত বিষয় জানতে চেয়েছেন। আমরা তাকে সবকিছু অবগত করেছি। শেষ মেসেজ হচ্ছে- দলের জন্য সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেই চেয়ারম্যানকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেতাদের বৈঠক

সিলেট আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ

আপডেট সময় ১২:১৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধী ছিল না, এখনো নেই। সিলেট আওয়ামী লীগ ইউনাইটেড, ঐক্যবদ্ধ। সাংবাদিকরা কেবল আমাদের মধ্যে দূরত্ব দেখান। কিন্তু আমরা সেটি দেখি না।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিলেট আওয়ামী লীগের আমরা সব নেতারা একসঙ্গে দেখা করেছি। প্রধানমন্ত্রীকে আমি সিলেট নগরীর হকার পুনর্বাসনসহ নগরের কাজের অগ্রগতি জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এতে খুশি হয়েছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সিলেটের মানুষের স্বার্থে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।’ সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন- গতকাল দুপুরে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের চার নেতা জেলার সভাপতি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, নগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও নগর সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গতকাল দুপুরে সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি এডভোকেট রণজিৎ সরকার।

নেতারা জানিয়েছেন- পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাৎ পর্ব থাকায় সিলেট জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের চার নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করার সুযোগ পান। এ সময় তারা সিলেটে দলের অবস্থান, দলের কার্যক্রম, জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেন।

একইসঙ্গে সিলেট অঞ্চলের চলমান উন্নয়ন কাজে আরও গতি আনতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবদার করেন। উন্নয়নের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে তদারকি করার অনুরোধ জানান সিলেটের নেতারা। প্রসঙ্গে উঠে আসে; ঢাকা-সিলেট ৬ লেন কাজ, এয়ারপোর্টের উন্নয়ন কাজসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প। এ সময় সিলেটের নেতাদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন- উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করা হবে। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান। পাশাপাশি মানুষের কাছে যাতে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে সে ব্যাপারে কাজ করার জন্য তিনি সিলেটের নেতাদের নির্দেশ দেন।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এটি ছিল আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য গত মঙ্গলবার অনুমতি চাই। এরপর আমাদের গতকাল দুপুরে দেখা করার অনুমতি দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে আমরা সিলেটের অন্য নেতাদের পাই। তবে; প্রথমে সিলেট জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। পরে অবশ্য আমাদের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি এডভোকেট রণজিৎ সরকার গিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। এবং আমরা একসঙ্গে ফটো তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এসেছি।’ সিলেট জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা জানিয়েছেন- সিলেট আওয়ামী লীগে এখন বহু ভাগে বিভক্তি দেখা দিচ্ছে। এই বিভক্তিতে পুড়তে শুরু করেছে সিলেট আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে নগর ও জাতীয় নির্বাচনে নেতাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার কারণে এখন সেই দূরত্ব ক্রমেই দানা বাঁধছে। আর এই অবস্থায় জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এছাড়া; সিলেটের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বক্তব্য তুলে ধরার প্রয়োজনীতা ছিল। এ কারণে জেলা ও নগর নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সব দিক না পারলেও বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তাও চেয়েছেন। আর নগরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামানও। বেরিয়ে আসার পর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট আওয়ামী লীগকে ইউনাইটেড মনে করলেও জেলা ও নগর নেতাদের ভাষ্যে সেটি পরিলক্ষিত হয়নি। মেয়রের উপস্থিতির কারণে সিলেটের নেতারা বিব্রত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন অনেকেই। এই বিব্রত হওয়ার বিষয়টি নেতারা অবশ্য প্রকাশ করেননি।

সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন জানিয়েছেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেছিলাম। মাঝখানে একদিন সময় পেয়েও যেতে পারিনি। গত মঙ্গলবার ফের সাক্ষাতের চেষ্টা করি। গতকাল সময় পেয়ে আমার দুপুরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের কাছে দলীয় ও ব্যক্তিগত বিষয় জানতে চেয়েছেন। আমরা তাকে সবকিছু অবগত করেছি। শেষ মেসেজ হচ্ছে- দলের জন্য সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।