ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পিটার হাস্‌-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী পলক

বাংলাদেশ-আমেরিকা সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বেশি সমপ্রসারিত ও ঘনিষ্ঠ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস্‌-এর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান। বৈঠকে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

অনেক মহল বলছে নির্বাচনের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র একটা ব্যবস্থা নিলেও নিতে পারে, আওয়ামী লীগের একজন এমপি হিসেবে আপনি কী মনে করছেন, সম্পর্ক কী মধুর পর্যায়ে যাচ্ছে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, আমি মনে করি, আমাদের নতুন মন্ত্রিসভার একজন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে একজন রাষ্ট্রদূত দেখা করলেন এবং ব্যবসা, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন এগুলো নিয়ে আলোচনা করলেন। এর মধ্যদিয়ে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো রয়েছে। এ ছাড়া আগামী পাঁচ বছর নতুন সরকারের সঙ্গে আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে সম্ভাবনার দ্বারগুলো উন্মোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে সেটিই মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো খুব আগ্রহী। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্‌, উনার যে বিভিন্ন কথা এবং আলোচনার বিষয়বস্তু এগুলো থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার ভবিষ্যতে যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং সম্ভাবনার সম্পর্ক, এটা আরও বেশি সমপ্রসারিত হবে, আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রীর যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প, সেটি পূরণের জন্য আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছি। সেখানে আমেরিকার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করবো দুই দেশের জনগণের জন্য, সারা বিশ্বের জন্য। আমার কাছে গতকালের বৈঠক থেকে এটাই মনে হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ। উদ্ভাবন ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করা হবে। নতুন সরকারের নতুন ভিশন নিয়ে কাজ করবে দু’দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিয়েও কথা বলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।  এক প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। বৈঠকের পরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেই চেয়ারম্যানকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

পিটার হাস্‌-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী পলক

বাংলাদেশ-আমেরিকা সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে

আপডেট সময় ০২:১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বেশি সমপ্রসারিত ও ঘনিষ্ঠ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস্‌-এর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান। বৈঠকে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

অনেক মহল বলছে নির্বাচনের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র একটা ব্যবস্থা নিলেও নিতে পারে, আওয়ামী লীগের একজন এমপি হিসেবে আপনি কী মনে করছেন, সম্পর্ক কী মধুর পর্যায়ে যাচ্ছে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, আমি মনে করি, আমাদের নতুন মন্ত্রিসভার একজন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে একজন রাষ্ট্রদূত দেখা করলেন এবং ব্যবসা, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন এগুলো নিয়ে আলোচনা করলেন। এর মধ্যদিয়ে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো রয়েছে। এ ছাড়া আগামী পাঁচ বছর নতুন সরকারের সঙ্গে আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে সম্ভাবনার দ্বারগুলো উন্মোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে সেটিই মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো খুব আগ্রহী। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্‌, উনার যে বিভিন্ন কথা এবং আলোচনার বিষয়বস্তু এগুলো থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার ভবিষ্যতে যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং সম্ভাবনার সম্পর্ক, এটা আরও বেশি সমপ্রসারিত হবে, আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রীর যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প, সেটি পূরণের জন্য আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছি। সেখানে আমেরিকার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করবো দুই দেশের জনগণের জন্য, সারা বিশ্বের জন্য। আমার কাছে গতকালের বৈঠক থেকে এটাই মনে হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ। উদ্ভাবন ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করা হবে। নতুন সরকারের নতুন ভিশন নিয়ে কাজ করবে দু’দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিয়েও কথা বলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।  এক প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। বৈঠকের পরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।