ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্তন ক্যান্সার: বছরে মারা যেতে পারে ১০ লাখ নারী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

নারীর শরীরে আস্তে আস্তে বিস্তার লাভ করে ভয়াবহ এক রোগ। এর নাম স্তন ক্যান্সার। এই ক্যান্সারে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক নারীর মৃত্যু হচ্ছে। ল্যানচেট কমিশন বলছে, ২০৪০ সালের মধ্যে বছরে এই রোগে মারা যেতে পারেন ১০ লাখ নারী। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে- ২০২০ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে প্রায় ৭৮ লাখ নারীর স্তন ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। ওই সময়ে এতে মারা গেছেন ৬ লাখ ৮৫ হাজারের মতো নারী। অথচ শুরুতে যদি শনাক্ত করা যায়, তাহলে লাখ লাখ নারীকে প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব। ওই কমিশন ধারণা করছে, ২০২০ সালে সারা বিশ্বে স্তন ক্যান্সারের রোগী ছিলেন ২৩ লাখ। তা ২০৪০ সালের মধ্যে বেড়ে বছরে ৩০ লাখের উপরে চলে যেতে পারে।  কমিশন আরও বলেছে, ২০৪০ সালের মধ্যে এ রোগে বছরে মৃত্যু হবে ১০ লাখ।

ল্যানচেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তীব্র  বৈষম্য’ এবং স্তন ক্যান্সারের উপসর্গজনিত দুর্দশা, হতাশা ও অর্থনৈতিক বোঝা- এসব প্রায়ই গোপন থাকছে ও অপর্যাপ্তভাবে বিবেচনায় আনা হচ্ছে। স্তন ক্যান্সারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ তুলে ধরে কমিশন বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে  রোগী ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ রোগীর জীবনমান, শারীরিক অবস্থা, থেরাপির কার্যকারিতা ও ইতিবাচকভাবে বেঁচে থাকার মতো  ক্ষেত্রগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে পারে।

স্তন ক্যান্সারের এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ তুলে ধরে কমিশন বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ হিসেবে রোগী ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে আরও ভালো  যোগাযোগ রোগীর জীবনমান, শারীরিক অবস্থা, থেরাপির কার্যকারিতা ও ইতিবাচকভাবে বেঁচে থাকার মতো  ক্ষেত্রগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের  রেশমা জাগসি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে নারীর মৌলিক মানবাধিকার সব দিক থেকেই পুরুষের চেয়ে কম গুরুত্ব পেয়ে আসছে। এ অবস্থায় স্তন ক্যান্সার মোকাবিলায় প্রত্যেক স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীর উচিত যোগাযোগ দক্ষতাসংশ্লিষ্ট কোনো না কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নেয়া। রোগী ও স্বাস্থ্য  পেশাজীবীদের মধ্যে যোগাযোগের মানোন্নয়ন দৃশ্যত সাধারণ ঘটনা হলেও, স্তন ক্যান্সার ব্যবস্থাপনায় নেয়া নির্দিষ্ট পদক্ষেপকে ছাপিয়ে তা গভীর ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

সূত্রঃ মা/জমিন

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মসজিদের ভেতরে ধর্মীয় নেতাকে হত্যা

স্তন ক্যান্সার: বছরে মারা যেতে পারে ১০ লাখ নারী

আপডেট সময় ০১:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

নারীর শরীরে আস্তে আস্তে বিস্তার লাভ করে ভয়াবহ এক রোগ। এর নাম স্তন ক্যান্সার। এই ক্যান্সারে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক নারীর মৃত্যু হচ্ছে। ল্যানচেট কমিশন বলছে, ২০৪০ সালের মধ্যে বছরে এই রোগে মারা যেতে পারেন ১০ লাখ নারী। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে- ২০২০ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে প্রায় ৭৮ লাখ নারীর স্তন ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। ওই সময়ে এতে মারা গেছেন ৬ লাখ ৮৫ হাজারের মতো নারী। অথচ শুরুতে যদি শনাক্ত করা যায়, তাহলে লাখ লাখ নারীকে প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব। ওই কমিশন ধারণা করছে, ২০২০ সালে সারা বিশ্বে স্তন ক্যান্সারের রোগী ছিলেন ২৩ লাখ। তা ২০৪০ সালের মধ্যে বেড়ে বছরে ৩০ লাখের উপরে চলে যেতে পারে।  কমিশন আরও বলেছে, ২০৪০ সালের মধ্যে এ রোগে বছরে মৃত্যু হবে ১০ লাখ।

ল্যানচেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তীব্র  বৈষম্য’ এবং স্তন ক্যান্সারের উপসর্গজনিত দুর্দশা, হতাশা ও অর্থনৈতিক বোঝা- এসব প্রায়ই গোপন থাকছে ও অপর্যাপ্তভাবে বিবেচনায় আনা হচ্ছে। স্তন ক্যান্সারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ তুলে ধরে কমিশন বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে  রোগী ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ রোগীর জীবনমান, শারীরিক অবস্থা, থেরাপির কার্যকারিতা ও ইতিবাচকভাবে বেঁচে থাকার মতো  ক্ষেত্রগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে পারে।

স্তন ক্যান্সারের এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ তুলে ধরে কমিশন বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ হিসেবে রোগী ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে আরও ভালো  যোগাযোগ রোগীর জীবনমান, শারীরিক অবস্থা, থেরাপির কার্যকারিতা ও ইতিবাচকভাবে বেঁচে থাকার মতো  ক্ষেত্রগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের  রেশমা জাগসি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে নারীর মৌলিক মানবাধিকার সব দিক থেকেই পুরুষের চেয়ে কম গুরুত্ব পেয়ে আসছে। এ অবস্থায় স্তন ক্যান্সার মোকাবিলায় প্রত্যেক স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীর উচিত যোগাযোগ দক্ষতাসংশ্লিষ্ট কোনো না কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নেয়া। রোগী ও স্বাস্থ্য  পেশাজীবীদের মধ্যে যোগাযোগের মানোন্নয়ন দৃশ্যত সাধারণ ঘটনা হলেও, স্তন ক্যান্সার ব্যবস্থাপনায় নেয়া নির্দিষ্ট পদক্ষেপকে ছাপিয়ে তা গভীর ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

সূত্রঃ মা/জমিন