ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন রাজধানীতে বিকালে স্বস্তির বৃষ্টি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের সীমা নেই। রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ ভুগছে গরমে। গতকাল রাজধানীতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। অন্যদিকে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় বিকালের এক ফসলা বৃষ্টিতে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও সুখবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। এদিকে রাত ১টার মধ্যে দেশের ৩ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ।

ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তীব্র গরমের কারণে মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। চলতি এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ঈদের তিন দিন আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। এরপর থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ঢাকা বিভাগে ফরিদপুরে ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী বিভাগে ঈশ্বরদীতে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর বিভাগে সৈয়দপুরে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেট বিভাগে শ্রীমঙ্গলে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় কুমারখালী ও মোংলায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বরিশালের খেপুপাড়ায় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গত এক দিনে।

এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। এ মাসে গরমের পাশাপাশি কালবৈশাখীরও দাপট থাকে বেশি। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে ?দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অতি তীব্র তাপপ্রবাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। এদিকে গতকাল সকালেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই কম বলা হয়েছিল। কিন্তু বিকালে আকাশ কালো করে ঝড়ো হাওয়াসহ নেমে আসে এক ফসলা বৃষ্টি। এ সময় রাজধানীতে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ঢাকায় স্থানীয়ভাবে একটি মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে এটা অনেক জায়গায় হয়ে থাকে। এটা দ্রুতই হয়, তাই এর পূর্বাভাস দেয়া বেশ কঠিন। আমাদের যেসব মডেল ছিল, সেগুলোতেও এটা ধরা পড়ছিল না।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মসজিদের ভেতরে ধর্মীয় নেতাকে হত্যা

দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন রাজধানীতে বিকালে স্বস্তির বৃষ্টি

আপডেট সময় ১২:১৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের সীমা নেই। রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ ভুগছে গরমে। গতকাল রাজধানীতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। অন্যদিকে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় বিকালের এক ফসলা বৃষ্টিতে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও সুখবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। এদিকে রাত ১টার মধ্যে দেশের ৩ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ।

ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তীব্র গরমের কারণে মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। চলতি এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ঈদের তিন দিন আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। এরপর থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ঢাকা বিভাগে ফরিদপুরে ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী বিভাগে ঈশ্বরদীতে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর বিভাগে সৈয়দপুরে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেট বিভাগে শ্রীমঙ্গলে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় কুমারখালী ও মোংলায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বরিশালের খেপুপাড়ায় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গত এক দিনে।

এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। এ মাসে গরমের পাশাপাশি কালবৈশাখীরও দাপট থাকে বেশি। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে ?দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অতি তীব্র তাপপ্রবাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। এদিকে গতকাল সকালেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই কম বলা হয়েছিল। কিন্তু বিকালে আকাশ কালো করে ঝড়ো হাওয়াসহ নেমে আসে এক ফসলা বৃষ্টি। এ সময় রাজধানীতে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ঢাকায় স্থানীয়ভাবে একটি মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে এটা অনেক জায়গায় হয়ে থাকে। এটা দ্রুতই হয়, তাই এর পূর্বাভাস দেয়া বেশ কঠিন। আমাদের যেসব মডেল ছিল, সেগুলোতেও এটা ধরা পড়ছিল না।