ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

টানা দাবদাহে মাঠ ফেঁটে যখন চৌচির তখন বৃষ্টির জন্য দু’হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার সন্তষ্টি লাভের আশায় কাঁদলেন গ্রামবাসীরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকার ৪শতাধিক মুসল্লী বৃষ্টির জন্য দু’রাকাত সালাতুল এসতেস্কা নামাজ আদায়ের পর মোনাজাত করেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাঁঠালবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোক্তার আলী। এসময় তিনি সকল বালা মুসিবত দূর করে ধরিত্রিতে বৃষ্টির ফল্গুধারা বইয়ে দেয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার দরবারে আকূল আবেদন জানান। তার মোনাজাতে মুসল্লীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তারা তাপদাহ দূর করে বৃষ্টির জন্য দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থণা করেন। এদিকে কাঁঠালবাড়ীসহ জেলার সদর উপজেলার পাঁচগাছী, ভোগডাঙ্গাসহ উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নে নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
নামাজে অংশ নেওয়া আব্দুল ব্যাপারী, কাশেম আলী ও শহর উদ্দি জানান, প্রচন্ড রোদে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষরা কাজ করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। এই এলাকার পাকা বোরো ধান নিয়ে আশংকায় রয়েছেন চাষীরা। এজন্য আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য সবাই মিলে দোয়া করেছি। যাতে আল্লাহপাক সদয় হন। আমাদের দোয়া মঞ্জুর করেন। কাঁঠালবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোক্তার আলী জানান, আজ বৃষ্টির জন্য দু’রাকাত সালাতুল এসতেস্কা নামাজ আদায়ের পর মোনাজাত করা হয়েছে। এটি একটি সুন্নতি আমল। প্রচন্ড খরা থেকে ফসল ও মানুষের সুবিধার জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া কামনা করা হয়।
উলিপুর  উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মাঝবিল ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মাও. মিনহাজুল ইসলামের ইমামতিতে নামাজে অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লীরা।
নামাজে অংশ নেওয়া আব্দুল আউয়াল, আক্কাছ আলী, মোজাফ্ফর আলীসহ কয়েকজন মুসল্লী জানান, টানা কয়েকদিনের প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারনে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাহিরে বের হতে পারছে না শ্রমজীবি মানুষেরা। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করা হয়।
নামাজের ইমাম চিলমারী রাজার ভিটা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। মূলত এটি সুন্নতি আমল। এ নামাজ ঈদের নামাজের মতো। নামাজ শেষে খুৎবা পাঠ করা হয়। তারপর আল্লাহ দরবারে বৃষ্টির জন্য দোয়া কামনা করা হয়।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বিমানবন্দরে হাসি-কান্নার গল্প

কুড়িগ্রামে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৩:৩৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
টানা দাবদাহে মাঠ ফেঁটে যখন চৌচির তখন বৃষ্টির জন্য দু’হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার সন্তষ্টি লাভের আশায় কাঁদলেন গ্রামবাসীরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকার ৪শতাধিক মুসল্লী বৃষ্টির জন্য দু’রাকাত সালাতুল এসতেস্কা নামাজ আদায়ের পর মোনাজাত করেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাঁঠালবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোক্তার আলী। এসময় তিনি সকল বালা মুসিবত দূর করে ধরিত্রিতে বৃষ্টির ফল্গুধারা বইয়ে দেয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার দরবারে আকূল আবেদন জানান। তার মোনাজাতে মুসল্লীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তারা তাপদাহ দূর করে বৃষ্টির জন্য দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থণা করেন। এদিকে কাঁঠালবাড়ীসহ জেলার সদর উপজেলার পাঁচগাছী, ভোগডাঙ্গাসহ উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নে নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
নামাজে অংশ নেওয়া আব্দুল ব্যাপারী, কাশেম আলী ও শহর উদ্দি জানান, প্রচন্ড রোদে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষরা কাজ করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। এই এলাকার পাকা বোরো ধান নিয়ে আশংকায় রয়েছেন চাষীরা। এজন্য আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য সবাই মিলে দোয়া করেছি। যাতে আল্লাহপাক সদয় হন। আমাদের দোয়া মঞ্জুর করেন। কাঁঠালবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোক্তার আলী জানান, আজ বৃষ্টির জন্য দু’রাকাত সালাতুল এসতেস্কা নামাজ আদায়ের পর মোনাজাত করা হয়েছে। এটি একটি সুন্নতি আমল। প্রচন্ড খরা থেকে ফসল ও মানুষের সুবিধার জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া কামনা করা হয়।
উলিপুর  উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মাঝবিল ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মাও. মিনহাজুল ইসলামের ইমামতিতে নামাজে অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লীরা।
নামাজে অংশ নেওয়া আব্দুল আউয়াল, আক্কাছ আলী, মোজাফ্ফর আলীসহ কয়েকজন মুসল্লী জানান, টানা কয়েকদিনের প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারনে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাহিরে বের হতে পারছে না শ্রমজীবি মানুষেরা। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করা হয়।
নামাজের ইমাম চিলমারী রাজার ভিটা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। মূলত এটি সুন্নতি আমল। এ নামাজ ঈদের নামাজের মতো। নামাজ শেষে খুৎবা পাঠ করা হয়। তারপর আল্লাহ দরবারে বৃষ্টির জন্য দোয়া কামনা করা হয়।