ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের কাস্টমস সুপারের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন দৈনিক যায়যায়দিন ও বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম।
 শনিবার সকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ল‍্যাগেজ তল্লাশীর সময় সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের সাথে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের পাসপোর্ট ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কয়েক দফা ধাক্কা দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন কাস্টমসের ওই কর্মকর্তা।
এসময় কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কোন সাংবাদিককে পরোয়া করেননা বলে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেন তিনি। এ ঘটনার পর সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম বেনাপোলে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের নিকট ঘটনাটি জানালে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের সাথে বিষয়টি নিয়ে সমাধান করেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাসপোর্ট যাত্রী জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান ল‍্যাগেজ তল্লাশির নামে সাধারণ যাত্রীদেরকে নানা রকম ভাবে হয়রানি করেন। কেউ কোন কথা বললে তার পাসপোর্ট ও মালামাল কেড়ে নিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন।
সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, যদি সাংবাদিককে এভাবে লাঞ্ছিত ও হয়রানি করা হয় তাহলে অন্যান্যদের অবস্থা কতটুকু ভয়ানক হতে পারে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং সকলের জীবন ও মালের নিরাপত্তার জন্য অনতি বিলম্বে বেনাপোল চেকপোস্টে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানকে এখান থেকে অন‍্যত্র শাস্তিমূলক বদলি করা হোক। এঘটনায় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সঞ্চর হয়েছে. কাষ্টম কর্মকর্তা মোখলেছুরের খুটির জোর কোথায়। কাষ্টম কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব‍্যবস্থা না নিলে শার্শা উপজেলা সাংবাদিক সমাজ আন্দোলনের মত কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছে এবং এঘটনায় সাংবাদিক মহল তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেনের কাছে আনিত বিষয় নিয়ে জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বিমানবন্দরে হাসি-কান্নার গল্প

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের কাস্টমস সুপারের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

আপডেট সময় ১২:১৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন দৈনিক যায়যায়দিন ও বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম।
 শনিবার সকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ল‍্যাগেজ তল্লাশীর সময় সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের সাথে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের পাসপোর্ট ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কয়েক দফা ধাক্কা দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন কাস্টমসের ওই কর্মকর্তা।
এসময় কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কোন সাংবাদিককে পরোয়া করেননা বলে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেন তিনি। এ ঘটনার পর সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম বেনাপোলে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের নিকট ঘটনাটি জানালে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের সাথে বিষয়টি নিয়ে সমাধান করেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাসপোর্ট যাত্রী জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান ল‍্যাগেজ তল্লাশির নামে সাধারণ যাত্রীদেরকে নানা রকম ভাবে হয়রানি করেন। কেউ কোন কথা বললে তার পাসপোর্ট ও মালামাল কেড়ে নিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন।
সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, যদি সাংবাদিককে এভাবে লাঞ্ছিত ও হয়রানি করা হয় তাহলে অন্যান্যদের অবস্থা কতটুকু ভয়ানক হতে পারে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং সকলের জীবন ও মালের নিরাপত্তার জন্য অনতি বিলম্বে বেনাপোল চেকপোস্টে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানকে এখান থেকে অন‍্যত্র শাস্তিমূলক বদলি করা হোক। এঘটনায় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সঞ্চর হয়েছে. কাষ্টম কর্মকর্তা মোখলেছুরের খুটির জোর কোথায়। কাষ্টম কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব‍্যবস্থা না নিলে শার্শা উপজেলা সাংবাদিক সমাজ আন্দোলনের মত কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছে এবং এঘটনায় সাংবাদিক মহল তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেনের কাছে আনিত বিষয় নিয়ে জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।