ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চিত করা হবে- তথ্য প্রতিমন্ত্রী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা উচিত, এটি নিশ্চিত করা হবে। আমি মনে করি এই দাবিটা আসলেই যৌক্তিক। কারণ এই প্রোফেশনটার প্রোটেকশন ও বিশুদ্ধতা রক্ষা করা উচিত। সেক্ষেত্রে আপনাদের সঙ্গে একটা আলাপ-আলোচনা করে কী পদ্ধতিতে, কীভাবে একটা ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বা আরও কোনো ক্রাইটেরিয়া যুক্ত করা যায় কিনা, আলোচনার ভিত্তিতে এটি করতে চাই। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি এই দাবিটা শুধু আমার কাছে না, আপনারা আরও বেশি বেশি বিভিন্ন ফোরামে করেন। কারণ আমরা সরকার থেকে যখনই কোনো শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করি, তখনই শৃঙ্খলাকে শৃঙ্খল বলে অনেকে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার করার চেষ্টা করে। এ কারণে আপনাদের থেকে ভয়েসটা রেইজ করেন, আমরা এটা চাই।

তিনি বলেন, ওয়েজ বোর্ডের যে বিষয়টি আছে, এখানেও কতোগুলো বাস্তবতা আছে। এটি সাংবাদিকদের শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বিষয় নয়, মান-সম্মানের বিষয়। তবে প্রোফেশনালি আরও ভালো ট্যালেন্টেড ছেলেমেয়েদের আকৃষ্ট করতে গেলে, যেকোনো প্রোফেশনে অপরচ্যুনিটি ভালো থাকতে হবে এবং অ্যাডমোন্সমেন্ট বা গ্রোথের বিপরীতে থাকতে হবে। এটি যদি উল্টোভাবে কাজ করে তাহলে হবে না।

কিন্তু কোন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে ঘটনাগুলো ঘটছে, এগুলো আমাদের অবজেক্টেভলি এনালাইজ করা দরকার। সেই বাস্তবতাকে কীভাবে আমরা পরিবর্তন করতে পারি বা করার কোনো সুযোগ আছে কিনা। আমি মনে করি এটা খুবই প্রাকটিক্যালি চিন্তা করতে হবে। কোনো আইন বা পলিসি করে বদলানো যাবে না। গণমাধ্যমকে অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকার জন্য যা করার দরকার সেটা আমরা চাই। আমাদের নিয়ত পরিষ্কার আছে, আমরা গণমাধ্যমে সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত আরও বলেন, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে। এর বাইরে শুধু অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন আছে ২১৩টির। এই ৪২৬টির পাশাপাশি আরও কতোগুলো নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, ছাড়পত্রও হয়েছে। সেগুলোর একটি তালিকা আছে। এর বাইরে আরও কতোগুলো আছে, যেগুলো আবেদন করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে, তবে ছাড়পত্র হয়নি। সবক’টির তালিকা করতে বলা হয়েছে। এগুলো বিটিআরসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। এর বাইরে যতগুলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, যেগুলো অনিবন্ধিত সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার দাবি ছিল সাংবাদিকদের। অনলাইন গণমাধ্যমের কমিটি, প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনও একই দাবি করেছে। সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের একটিই উদ্দেশ্য- গণমাধ্যম থাকবে, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা হবে, মুক্ত সাংবাদিকতা হবে, সরকার এবং অথরিটি ভুলভ্রান্তি করলে তার সমালোচনা হবে। সেগুলো আমরা শুনতে চাই, জানতে চাই, বুঝতে চাই এবং নিজেদের শুধরাতে চাই।

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন দ্রুত কার্যকর করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি এখন যে পর্যায়ে আছে, আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছি- সাংবাদিকদের যতগুলো সংগঠন আছে, সকল সংগঠন থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি পাঠাবে এবং তাদেরকে নিয়ে একটি সেল তৈরি করে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের বক্তব্যগুলো নিয়ে আমরা সেটাকে ফাইনালাইজ করবো। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সেটি সংসদে নিয়ে আইন পাস করাবো।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা প্রমুখ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বিমানবন্দরে হাসি-কান্নার গল্প

সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চিত করা হবে- তথ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:২৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা উচিত, এটি নিশ্চিত করা হবে। আমি মনে করি এই দাবিটা আসলেই যৌক্তিক। কারণ এই প্রোফেশনটার প্রোটেকশন ও বিশুদ্ধতা রক্ষা করা উচিত। সেক্ষেত্রে আপনাদের সঙ্গে একটা আলাপ-আলোচনা করে কী পদ্ধতিতে, কীভাবে একটা ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বা আরও কোনো ক্রাইটেরিয়া যুক্ত করা যায় কিনা, আলোচনার ভিত্তিতে এটি করতে চাই। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি এই দাবিটা শুধু আমার কাছে না, আপনারা আরও বেশি বেশি বিভিন্ন ফোরামে করেন। কারণ আমরা সরকার থেকে যখনই কোনো শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করি, তখনই শৃঙ্খলাকে শৃঙ্খল বলে অনেকে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার করার চেষ্টা করে। এ কারণে আপনাদের থেকে ভয়েসটা রেইজ করেন, আমরা এটা চাই।

তিনি বলেন, ওয়েজ বোর্ডের যে বিষয়টি আছে, এখানেও কতোগুলো বাস্তবতা আছে। এটি সাংবাদিকদের শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বিষয় নয়, মান-সম্মানের বিষয়। তবে প্রোফেশনালি আরও ভালো ট্যালেন্টেড ছেলেমেয়েদের আকৃষ্ট করতে গেলে, যেকোনো প্রোফেশনে অপরচ্যুনিটি ভালো থাকতে হবে এবং অ্যাডমোন্সমেন্ট বা গ্রোথের বিপরীতে থাকতে হবে। এটি যদি উল্টোভাবে কাজ করে তাহলে হবে না।

কিন্তু কোন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে ঘটনাগুলো ঘটছে, এগুলো আমাদের অবজেক্টেভলি এনালাইজ করা দরকার। সেই বাস্তবতাকে কীভাবে আমরা পরিবর্তন করতে পারি বা করার কোনো সুযোগ আছে কিনা। আমি মনে করি এটা খুবই প্রাকটিক্যালি চিন্তা করতে হবে। কোনো আইন বা পলিসি করে বদলানো যাবে না। গণমাধ্যমকে অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকার জন্য যা করার দরকার সেটা আমরা চাই। আমাদের নিয়ত পরিষ্কার আছে, আমরা গণমাধ্যমে সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত আরও বলেন, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে। এর বাইরে শুধু অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন আছে ২১৩টির। এই ৪২৬টির পাশাপাশি আরও কতোগুলো নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, ছাড়পত্রও হয়েছে। সেগুলোর একটি তালিকা আছে। এর বাইরে আরও কতোগুলো আছে, যেগুলো আবেদন করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে, তবে ছাড়পত্র হয়নি। সবক’টির তালিকা করতে বলা হয়েছে। এগুলো বিটিআরসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। এর বাইরে যতগুলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, যেগুলো অনিবন্ধিত সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার দাবি ছিল সাংবাদিকদের। অনলাইন গণমাধ্যমের কমিটি, প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনও একই দাবি করেছে। সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের একটিই উদ্দেশ্য- গণমাধ্যম থাকবে, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা হবে, মুক্ত সাংবাদিকতা হবে, সরকার এবং অথরিটি ভুলভ্রান্তি করলে তার সমালোচনা হবে। সেগুলো আমরা শুনতে চাই, জানতে চাই, বুঝতে চাই এবং নিজেদের শুধরাতে চাই।

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন দ্রুত কার্যকর করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি এখন যে পর্যায়ে আছে, আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছি- সাংবাদিকদের যতগুলো সংগঠন আছে, সকল সংগঠন থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি পাঠাবে এবং তাদেরকে নিয়ে একটি সেল তৈরি করে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের বক্তব্যগুলো নিয়ে আমরা সেটাকে ফাইনালাইজ করবো। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সেটি সংসদে নিয়ে আইন পাস করাবো।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা প্রমুখ।