ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর সেনবাগে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এক মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই এলাকার পিয়াসসহ দুই গ্রুপের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সেবারহাট বাজারের সায়েন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাজহারুল ইসলাম শাওন (২০) উত্তর রাজারামপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির আবুধাবি প্রবাসী কচি মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় উত্তর রাজারামপুর বশিরিয়া আলিম মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রুপের লোকজন শাওনকে হত্যা করে। জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গতকাল উপজেলার সেবারহাট বাজারের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার আয়োজন করে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার। এ জন্য গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় চালানো হয় মাইকিং। বুধবার বিকালে মেলায় চলে আসে ১৫-২০টি দোকান।

একইদিন রাত ৮টার দিকে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে নিহত শাওন গ্রুপের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে হৃদয়ের নেতৃত্বে শাওনের বুকে, পেটে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং একই সময়ে পিয়াস নামে আরও এক তরুণকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। পিয়াসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব মানবজমিনকে বলেন, অনুমোদনহীন মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে মেলা বসানো ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিছু আসামির নাম আমরা পেয়েছি। তবে তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কেন নিষেধাজ্ঞা?

নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা

আপডেট সময় ০৯:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নোয়াখালীর সেনবাগে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এক মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই এলাকার পিয়াসসহ দুই গ্রুপের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সেবারহাট বাজারের সায়েন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাজহারুল ইসলাম শাওন (২০) উত্তর রাজারামপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির আবুধাবি প্রবাসী কচি মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় উত্তর রাজারামপুর বশিরিয়া আলিম মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রুপের লোকজন শাওনকে হত্যা করে। জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গতকাল উপজেলার সেবারহাট বাজারের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার আয়োজন করে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার। এ জন্য গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় চালানো হয় মাইকিং। বুধবার বিকালে মেলায় চলে আসে ১৫-২০টি দোকান।

একইদিন রাত ৮টার দিকে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে নিহত শাওন গ্রুপের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে হৃদয়ের নেতৃত্বে শাওনের বুকে, পেটে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং একই সময়ে পিয়াস নামে আরও এক তরুণকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। পিয়াসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব মানবজমিনকে বলেন, অনুমোদনহীন মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে মেলা বসানো ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিছু আসামির নাম আমরা পেয়েছি। তবে তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।