ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে ছাএ নেতা সজীব হত্যা, প্রতিবাদে উওাল রাজপথ

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। এসময় হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামি চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ খুনিদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম. ছাবির আহমেদ, ওহিদুজ্জামান বেগ বাবলু, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রিংকুসহ অন্যান্যরা।
এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের  নেতা-কর্মীরা সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নেয়। প্রতিবাদ সমাবেশে  আগত নেতাকর্মীদের একটাই স্লোগান অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রতিবাদে সমাবেশে চলাকালীন সময়ে স্হানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় ছিলো কোন ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেনি, শান্তিপূর্ন ভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ হয়। প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৌদের পুকুরপাড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব, সাইফুল পাটওয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয় আহত হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যায়।
এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী বাবলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আরো ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। একই দিন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দ্বিতীয় আসামি চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা জেলা কারাগারে রয়েছে। নিহত সজীব চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ও চন্দ্রগঞ্জস্থ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কেন নিষেধাজ্ঞা?

লক্ষ্মীপুরে ছাএ নেতা সজীব হত্যা, প্রতিবাদে উওাল রাজপথ

আপডেট সময় ০৩:০৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। এসময় হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামি চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ খুনিদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম. ছাবির আহমেদ, ওহিদুজ্জামান বেগ বাবলু, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রিংকুসহ অন্যান্যরা।
এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের  নেতা-কর্মীরা সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নেয়। প্রতিবাদ সমাবেশে  আগত নেতাকর্মীদের একটাই স্লোগান অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রতিবাদে সমাবেশে চলাকালীন সময়ে স্হানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় ছিলো কোন ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেনি, শান্তিপূর্ন ভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ হয়। প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৌদের পুকুরপাড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব, সাইফুল পাটওয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয় আহত হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যায়।
এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী বাবলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আরো ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। একই দিন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দ্বিতীয় আসামি চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা জেলা কারাগারে রয়েছে। নিহত সজীব চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ও চন্দ্রগঞ্জস্থ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন।