ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ইসরাইল থেকে ঢাকায় বিমান অবতরণ নানা আলোচনা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বিমান চলাচল চুক্তি নাই। জাতিসংঘভুক্ত যে ২৮টি দেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি তারমধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরাইল ভ্রমণে ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল থেকে দুটি উড়োজাহাজ ঢাকায় অবতরণ করায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নানা মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এনিয়ে জনমণে কৌতূহলের শেষ নাই। কেউ কেউ বলছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রশ্নে বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামেও সরব। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যুকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। এরকম অবস্থায় ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব থেকে আসা দুটি বিমান অবতরণ কিসের বার্তা দেয়? অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সমালোচনাও করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বিষয়টিকে উদ্বেগ ও রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ইসরাইলের তেলআবিব থেকে যে ফ্লাইটটি এসেছিল, সেটি অপারেট করেছে ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজ তেলআবিব থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টায় উড়ে ঢাকায় আসে। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজগুলো কার্গো এয়ারক্রাফট। প্রতিটি প্রায় ১০৮ গ্রস টন মালামাল বহন করতে পারে। দুটি উড়োজাহাজই যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এবং সেখানেই নিবন্ধিত। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স অন-ডিমান্ড কার্গো এবং চার্টার্ড যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা করে। এটি ইসরাইলের কোনো এয়ারলাইন্স নয়। ঢাকায় আসা উড়োজাহাজ দুটি ইসরাইল থেকে কোনো পণ্য বা যাত্রী পরিবহন করেনি। এর আগেও বাংলাদেশে ন্যাশনাল এয়ারলাইনের ফ্লাইট এসেছিল। বিভিন্ন সময়ে কার্গো পণ্য নিতে এয়ারলাইন্সটির ফ্লাইট বাংলাদেশ আসে। মূলত, ইসরাইলে পণ্য নামিয়ে খালি বিমান এসেছিল বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে। এসব পণ্য মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যায় এয়ারলাইন্সটি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের কোনো এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট নেই, ফলে দেশটির কোনো এয়ারলাইনের ফ্লাইট বাংলাদেশে আসতে পারবে না। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট রয়েছে। ফলে দেশটির যেকোনো এয়ারলাইন বাংলাদেশে আসতে পারবে, একইভাবে বাংলাদেশি এয়ারলাইনের ফ্লাইটটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবে। ফলে ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন হওয়ায় বাংলাদেশে আসতে কোনো বাধা নেই। ঢাকায় আসা উড়োজাহাজ দুটি পণ্য নিয়ে শারজাহ ও ইউরোপে গিয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭ই এপ্রিল একটি বিমান তেলআবিব থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে ও কার্গো নিয়ে ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। অপর বিমানটি গত ১১ই এপ্রিল  সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ ও পরের দিন ১২টা ২৯ মিনিটে  কার্গো নিয়ে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ও ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের একটি গন্তব্যে গিয়েছে। বাংলাদেশ ও ইসরাইলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরাইলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইসরাইল থেকে বিমান এলো ঢাকায়’-শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বিবেচ্য। এরূপ সংবাদ পরিবেশনা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে বেবিচক।

কূটনৈতিক সম্পর্ক বহির্ভূত ইসরাইলি দুটি বিমানের অবতরণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সঙ্গে এর রহস্য উন্মোচনের আহ্বান জানিয়ে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যে রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, সেই রাষ্ট্রের বিমানের অবতরণ রহস্যজনক ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। গাজায় গণহত্যাকারী মানবতার দুশমন ইসরাইলের দুটো কার্গো বিমান কোন কারণে, কী উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে অবতরণ করলো এবং অবতরণের পর তারা কি কাজে সময় ব্যয় করেছে তা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়। তিনি বলেন, ইসরাইল থেকে বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইটের কোনো নজির নেই। জরুরি অবতরণ ছাড়া বাংলাদেশে পণ্য বহনকারী ইসরাইল ফ্লাইটের অবতরণ একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়নি। তিনি বলেন, সরকার জাতির সামনে ঘটনার রহস্য এখনো উন্মোচন করেনি। সরকারের এ নীরবতা আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করেছে। আমরা অবিলম্বে ইসরাইলি বিমান অবতরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে উদ্বেগ থেকে মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ইসরাইলি দুটি কার্গো বিমান বাংলাদেশের বিমানবন্দরে অবতরণের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এ ঘটনা খুবই রহজ্যজনক এবং উদ্বেগজনক বলে মনে করছি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দলের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

ইসরাইল থেকে ঢাকায় বিমান অবতরণ নানা আলোচনা

আপডেট সময় ১০:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বিমান চলাচল চুক্তি নাই। জাতিসংঘভুক্ত যে ২৮টি দেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি তারমধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরাইল ভ্রমণে ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল থেকে দুটি উড়োজাহাজ ঢাকায় অবতরণ করায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নানা মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এনিয়ে জনমণে কৌতূহলের শেষ নাই। কেউ কেউ বলছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রশ্নে বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামেও সরব। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যুকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। এরকম অবস্থায় ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব থেকে আসা দুটি বিমান অবতরণ কিসের বার্তা দেয়? অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সমালোচনাও করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বিষয়টিকে উদ্বেগ ও রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ইসরাইলের তেলআবিব থেকে যে ফ্লাইটটি এসেছিল, সেটি অপারেট করেছে ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজ তেলআবিব থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টায় উড়ে ঢাকায় আসে। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজগুলো কার্গো এয়ারক্রাফট। প্রতিটি প্রায় ১০৮ গ্রস টন মালামাল বহন করতে পারে। দুটি উড়োজাহাজই যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এবং সেখানেই নিবন্ধিত। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স অন-ডিমান্ড কার্গো এবং চার্টার্ড যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা করে। এটি ইসরাইলের কোনো এয়ারলাইন্স নয়। ঢাকায় আসা উড়োজাহাজ দুটি ইসরাইল থেকে কোনো পণ্য বা যাত্রী পরিবহন করেনি। এর আগেও বাংলাদেশে ন্যাশনাল এয়ারলাইনের ফ্লাইট এসেছিল। বিভিন্ন সময়ে কার্গো পণ্য নিতে এয়ারলাইন্সটির ফ্লাইট বাংলাদেশ আসে। মূলত, ইসরাইলে পণ্য নামিয়ে খালি বিমান এসেছিল বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে। এসব পণ্য মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যায় এয়ারলাইন্সটি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের কোনো এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট নেই, ফলে দেশটির কোনো এয়ারলাইনের ফ্লাইট বাংলাদেশে আসতে পারবে না। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট রয়েছে। ফলে দেশটির যেকোনো এয়ারলাইন বাংলাদেশে আসতে পারবে, একইভাবে বাংলাদেশি এয়ারলাইনের ফ্লাইটটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবে। ফলে ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন হওয়ায় বাংলাদেশে আসতে কোনো বাধা নেই। ঢাকায় আসা উড়োজাহাজ দুটি পণ্য নিয়ে শারজাহ ও ইউরোপে গিয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭ই এপ্রিল একটি বিমান তেলআবিব থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে ও কার্গো নিয়ে ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। অপর বিমানটি গত ১১ই এপ্রিল  সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ ও পরের দিন ১২টা ২৯ মিনিটে  কার্গো নিয়ে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ও ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের একটি গন্তব্যে গিয়েছে। বাংলাদেশ ও ইসরাইলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরাইলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইসরাইল থেকে বিমান এলো ঢাকায়’-শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বিবেচ্য। এরূপ সংবাদ পরিবেশনা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে বেবিচক।

কূটনৈতিক সম্পর্ক বহির্ভূত ইসরাইলি দুটি বিমানের অবতরণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সঙ্গে এর রহস্য উন্মোচনের আহ্বান জানিয়ে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যে রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, সেই রাষ্ট্রের বিমানের অবতরণ রহস্যজনক ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। গাজায় গণহত্যাকারী মানবতার দুশমন ইসরাইলের দুটো কার্গো বিমান কোন কারণে, কী উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে অবতরণ করলো এবং অবতরণের পর তারা কি কাজে সময় ব্যয় করেছে তা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়। তিনি বলেন, ইসরাইল থেকে বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইটের কোনো নজির নেই। জরুরি অবতরণ ছাড়া বাংলাদেশে পণ্য বহনকারী ইসরাইল ফ্লাইটের অবতরণ একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়নি। তিনি বলেন, সরকার জাতির সামনে ঘটনার রহস্য এখনো উন্মোচন করেনি। সরকারের এ নীরবতা আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করেছে। আমরা অবিলম্বে ইসরাইলি বিমান অবতরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে উদ্বেগ থেকে মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ইসরাইলি দুটি কার্গো বিমান বাংলাদেশের বিমানবন্দরে অবতরণের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এ ঘটনা খুবই রহজ্যজনক এবং উদ্বেগজনক বলে মনে করছি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দলের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।