নাসিরনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অফিসের নকলনবিশ রুহেলা আক্তার ও মোহরার শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে নকলের একই নম্বর দিয়ে দু’জনের নামেই সরকারি টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, শিরিন আক্তার প্রতিদিন ১২ পৃষ্ঠা লিখে প্রতিদিনের সরকারি হাজিরা বহন করেন যেটি দিয়ে তিনি কর্মদিবস শেষ করে এবং অন্যদিকে নকলনবিশ রুহেলা আক্তার নকলের একই নম্বর দিয়ে তার পারিশ্রমিক হিসেবে ডায়েরি প্রদর্শন করে সরকারি টাকা এক নকলে দু’জনই উত্তোলন করেন। মোহরার শিরিন আক্তার ও নকলনবিশ রুহেলা আক্তার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক রামরাজত্ব কায়েম করে, তারা ইচ্ছামতো অফিসে আসে এবং বন্ধ করে চলে যায়। যা সরকার এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। রুহেলা আক্তার এ বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ডায়েরি করে বেশি বিল দিতে পারি। কিন্তু বিল চেক করার দায়িত্ব অফিস সহকারী সুরুজ মিঞার, তিনি ভুল করে বিল দিলে আমার করার কিছু নেই।
এ ব্যাপারে অফিস সহকারী সুরুজ মিঞা প্রথমে অস্বীকার করে পরে বলেন, আমি বিল চেক করি এবং অফিসারের স্বাক্ষরে বিল হয়। উপজেলা সাব-রেজিস্টার জামাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার মহোদয় অবগত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম করছেন। তবে বিল ডায়েরি প্রদর্শনে এবং কাজে দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। জেলা রেজিস্ট্রার সরকার লুৎফুর কবির মোবাইল ফোনে জানান, আমি অভিযোগটি পেয়েছি তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
তাছাড়াও নাসিরনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বিষয় দলিল লেখকসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের থেকে ভুক্তভোগীরা জানান, সাব-রেজিস্টার অফিসার সপ্তাহে ৩ দিন অফিসে এসে অফিসের কার্যক্রম ১২টা থেকে শুরু করেন এবং ৪টার পর যত দলিল রেজিস্ট্রার করা হয় প্রতি দলিলে এক হাজার টাকা করে বেশি দিতে হয়। যা অনিয়মই নিয়মে পরিণতি হচ্ছে। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।