ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৫:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদগঞ্জে কবর থেকে সেলিম শেখের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ওই কাজ সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বিকাল চার ঘটিকায়। মৃত সেলিম শেখের বোন ফাতেমার মামলার সূত্রে পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উপজেলার গোবিন্দপুর (উত্তর) ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের শেখ বাড়িতে সেলিম শেখ মারা যান ২৩শে মার্চ রোববার রাত আনুমানিক তিন ঘটিকায়। স্ত্রী লিপি আত্মগোপনে। জানা গেছে, ঘটনার সময় সেলিম শেখের স্ত্রী লিপি (৪২)’র চিৎকার শোনা যায়। তিনি পাশের ঘরের গৃহিণী খাদিজা (৩২)কে ডাকেন। তিনি গিয়ে দেখেন, স্বামীর মাথা কোলে নিয়ে কান্না করছিলেন স্ত্রী লিপি। তিনি দাবি করেন, তার স্বামী ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। শোকেসের কাঁচে তার মাথায় আঘাত লাগে।

এতে তার মুখ ও নাকের পেছনে কাটা গেছে। তাদের চিৎকারে বাড়ির প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন ছুটে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর একজন পল্লী চিকিৎসক যান। তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁজে পালস পাননি। একপর্যায়ে তাদের জানানো হয় সেলিম শেখ মারা গেছেন। পরদিন আসরের নামাজের পর মরদেহ দাফন করা হয়। এদিকে, সেলিম শেখের ভাই ও বোনদের দাবি ভাইয়ের নাকে-মুখে, মাথায় ও ঘাড়ের পেছনে এত রক্ত কেন। ভাইকে তার স্ত্রী, ভাই ও বাবা পিটিয়ে মেরেছে। তথ্য গোপন করে দাফন করা হয়েছে। এমন দাবি ও বোন ফাতেমা বেগমের মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত প্রায় পাঁচ দিন পূর্বে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। লাশ উত্তোলনের সময় অনেকের সঙ্গে বাদী ফাতেমা ও সেলিমের ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা স্বর্ণালী উপস্থিত ছিলেন। স্বর্ণালী বলেন, ভালোই হয়েছে। তদন্ত করে, আসল ঘটনা বেরিয়ে আসুক। তবে, তিনি ফুপু ফাতেমার দাবি অসত্য বলে কান্নাকাটি করেন। লাশ উত্তোলনের কাজ করেন ফরিদগঞ্জ থানার ডোম ছোলায়মান মিয়া (৫৫) ও মো. সাত্তার (২২)। গতকাল বিকালে লাশ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকারিয়া হোসেন, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল ও সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কেন নিষেধাজ্ঞা?

ফরিদগঞ্জে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় ০১:৪৫:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

ফরিদগঞ্জে কবর থেকে সেলিম শেখের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ওই কাজ সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বিকাল চার ঘটিকায়। মৃত সেলিম শেখের বোন ফাতেমার মামলার সূত্রে পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উপজেলার গোবিন্দপুর (উত্তর) ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের শেখ বাড়িতে সেলিম শেখ মারা যান ২৩শে মার্চ রোববার রাত আনুমানিক তিন ঘটিকায়। স্ত্রী লিপি আত্মগোপনে। জানা গেছে, ঘটনার সময় সেলিম শেখের স্ত্রী লিপি (৪২)’র চিৎকার শোনা যায়। তিনি পাশের ঘরের গৃহিণী খাদিজা (৩২)কে ডাকেন। তিনি গিয়ে দেখেন, স্বামীর মাথা কোলে নিয়ে কান্না করছিলেন স্ত্রী লিপি। তিনি দাবি করেন, তার স্বামী ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। শোকেসের কাঁচে তার মাথায় আঘাত লাগে।

এতে তার মুখ ও নাকের পেছনে কাটা গেছে। তাদের চিৎকারে বাড়ির প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন ছুটে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর একজন পল্লী চিকিৎসক যান। তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁজে পালস পাননি। একপর্যায়ে তাদের জানানো হয় সেলিম শেখ মারা গেছেন। পরদিন আসরের নামাজের পর মরদেহ দাফন করা হয়। এদিকে, সেলিম শেখের ভাই ও বোনদের দাবি ভাইয়ের নাকে-মুখে, মাথায় ও ঘাড়ের পেছনে এত রক্ত কেন। ভাইকে তার স্ত্রী, ভাই ও বাবা পিটিয়ে মেরেছে। তথ্য গোপন করে দাফন করা হয়েছে। এমন দাবি ও বোন ফাতেমা বেগমের মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত প্রায় পাঁচ দিন পূর্বে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। লাশ উত্তোলনের সময় অনেকের সঙ্গে বাদী ফাতেমা ও সেলিমের ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা স্বর্ণালী উপস্থিত ছিলেন। স্বর্ণালী বলেন, ভালোই হয়েছে। তদন্ত করে, আসল ঘটনা বেরিয়ে আসুক। তবে, তিনি ফুপু ফাতেমার দাবি অসত্য বলে কান্নাকাটি করেন। লাশ উত্তোলনের কাজ করেন ফরিদগঞ্জ থানার ডোম ছোলায়মান মিয়া (৫৫) ও মো. সাত্তার (২২)। গতকাল বিকালে লাশ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকারিয়া হোসেন, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল ও সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।