ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩ মাস পর দেশে ফিরলো লাশ

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসীর আত্মহত্যা হায়রে ভালোবাসা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিন মাস ৭ দিন পর দেশে ফিরেছে সৌদি প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা জীবননগরের রিপন হোসেনের মরদেহ। রিপন জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশাদুল হকের ছেলে। গত ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৩ সালে প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে সৌদি প্রবাসী রিপন হোসেন আত্মহত্যা করে।

জীবননগরের উথলী ইউ‌নিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আরমান আলী জানান, শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে রিপনের মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে সকাল ৯টায় জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রিয়াদ থেকে ছেড়ে আসা শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ট্রানজিট (রিয়াদ-কলম্বো-ঢাকা) কার্গো ফ্লাইটে ঢাকা শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ পৌঁছায়। বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম শেষে রিপনের মরদেহের কফিনটি বৃহস্পতিবার রা‌তে তার পিতা আশাদুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জানা গেছে, পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে ৫ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান রিপন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আল কাসিম ব্রুদা শহরের একটি কৃষি খামারে কাজ করতেন তিনি।রিপন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জিন্নানগর গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মোবাইল ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া ও বাক্বিতণ্ডা হয় তার। এ সময় রিপন (২৮শে ডিসেম্বর) প্রেমিকা ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

রিপনের বন্ধুরা কাজ শেষে ঘরে ফিরে রিপনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় লাশের পাশে থাকা মোবাইল ফোনে তারা একটি মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার প্রমাণও পায়। কিন্তু রিপনের লিগ্যাল ডকুমেন্টস না থাকায় সৌদির সরকারি দাপ্তরিক কাজে মরদেহ প্রেরণের জটিলতা দেখে দেয়।
পরবর্তীতে উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের কৃতি সন্তান সৌদি প্রবাসী রায়হানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, সৌদি প্রবাসী সাংবাদিক আরটিভি প্রতিনিধি বশির উদ্দীন এবং ইন্ডিয়ান ভিত্তিক প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার সহযোগিতায় প্রায় ১১ হাজার রিয়াল অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ করে তার মরদেহ পরিবারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। অবশেষে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিন মাস ৭দিন পর দেশে ফেরে জীবননগরের সেনেরহুদা গ্রামের সৌদি প্রবাসী যুবক রিপন হোসেনের মরদেহ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কেন নিষেধাজ্ঞা?

৩ মাস পর দেশে ফিরলো লাশ

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসীর আত্মহত্যা হায়রে ভালোবাসা

আপডেট সময় ০১:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিন মাস ৭ দিন পর দেশে ফিরেছে সৌদি প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা জীবননগরের রিপন হোসেনের মরদেহ। রিপন জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশাদুল হকের ছেলে। গত ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৩ সালে প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে সৌদি প্রবাসী রিপন হোসেন আত্মহত্যা করে।

জীবননগরের উথলী ইউ‌নিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আরমান আলী জানান, শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে রিপনের মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে সকাল ৯টায় জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রিয়াদ থেকে ছেড়ে আসা শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ট্রানজিট (রিয়াদ-কলম্বো-ঢাকা) কার্গো ফ্লাইটে ঢাকা শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ পৌঁছায়। বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম শেষে রিপনের মরদেহের কফিনটি বৃহস্পতিবার রা‌তে তার পিতা আশাদুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জানা গেছে, পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে ৫ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান রিপন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আল কাসিম ব্রুদা শহরের একটি কৃষি খামারে কাজ করতেন তিনি।রিপন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জিন্নানগর গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মোবাইল ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া ও বাক্বিতণ্ডা হয় তার। এ সময় রিপন (২৮শে ডিসেম্বর) প্রেমিকা ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

রিপনের বন্ধুরা কাজ শেষে ঘরে ফিরে রিপনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় লাশের পাশে থাকা মোবাইল ফোনে তারা একটি মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার প্রমাণও পায়। কিন্তু রিপনের লিগ্যাল ডকুমেন্টস না থাকায় সৌদির সরকারি দাপ্তরিক কাজে মরদেহ প্রেরণের জটিলতা দেখে দেয়।
পরবর্তীতে উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের কৃতি সন্তান সৌদি প্রবাসী রায়হানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, সৌদি প্রবাসী সাংবাদিক আরটিভি প্রতিনিধি বশির উদ্দীন এবং ইন্ডিয়ান ভিত্তিক প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার সহযোগিতায় প্রায় ১১ হাজার রিয়াল অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ করে তার মরদেহ পরিবারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। অবশেষে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিন মাস ৭দিন পর দেশে ফেরে জীবননগরের সেনেরহুদা গ্রামের সৌদি প্রবাসী যুবক রিপন হোসেনের মরদেহ।