ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

হত্যার স্বীকার শিশু জোনাকী সৎ মায়ের স্বীকারোক্তি

ঈদে নতুন জামা পরবে তাইতো বেনাপোল থেকে আসছিল, যশোরে বসবাসকারী বাবা ও সৎ মায়ের কাছে। এসে নির্মম ভাবে খুন হতে হল সৎ মায়ের হাতে শিশু জোনাকি(৯)। কিন্তু ঈদের জামা কেনা হলনা, ভাগ্যে জুটল সাদা কাফন। মৃত্যুর ১০ ঘন্টার পর স্বীকারোক্তি দিল ঘাতক সৎ মা কোহিনুর বেগম। নির্মম হত‍্যার স্বীকার শিশু জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহিন তরফদারের মেয়ে।

পুলিশ জানায়.২রা এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে  যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়া মডেল মসজিদের পাশে ডোবা পুকুর থেকে জোনাকির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের হাতে. মুখে ও গলাই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জোনাকির সৎ মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় ১০ঘন্টা পর হত‍্যার দায় স্বীকার করেন। স্বীকারের পর রাত ১০দিকে ঘটনা স্থল তার নিজ ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার স্বীকারোক্তিতে ঘর থেকে তার গায়ে থাকা জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়।
ডিবি পুলিশের এস আই মফিজুল ইসলাম জানান. আসামী কোহিনুর বেগম তার গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছে। সেই ক্ষোভের বসবর্তি হয়ে সতিনের মেয়ে জোনাকিকে হত্যা করে ঘরের মাঝে লুকিয়ে রাখে। বাড়ির লোকজন খোজাখুজি করে না পেয়ে থানায় ডায়েরি করতে যাওয়ার এই ফাকে সে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। তিনি আরও জানান হত্যাকারী কোহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

হত্যার স্বীকার শিশু জোনাকী সৎ মায়ের স্বীকারোক্তি

আপডেট সময় ০১:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

ঈদে নতুন জামা পরবে তাইতো বেনাপোল থেকে আসছিল, যশোরে বসবাসকারী বাবা ও সৎ মায়ের কাছে। এসে নির্মম ভাবে খুন হতে হল সৎ মায়ের হাতে শিশু জোনাকি(৯)। কিন্তু ঈদের জামা কেনা হলনা, ভাগ্যে জুটল সাদা কাফন। মৃত্যুর ১০ ঘন্টার পর স্বীকারোক্তি দিল ঘাতক সৎ মা কোহিনুর বেগম। নির্মম হত‍্যার স্বীকার শিশু জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহিন তরফদারের মেয়ে।

পুলিশ জানায়.২রা এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে  যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়া মডেল মসজিদের পাশে ডোবা পুকুর থেকে জোনাকির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের হাতে. মুখে ও গলাই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জোনাকির সৎ মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় ১০ঘন্টা পর হত‍্যার দায় স্বীকার করেন। স্বীকারের পর রাত ১০দিকে ঘটনা স্থল তার নিজ ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার স্বীকারোক্তিতে ঘর থেকে তার গায়ে থাকা জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়।
ডিবি পুলিশের এস আই মফিজুল ইসলাম জানান. আসামী কোহিনুর বেগম তার গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছে। সেই ক্ষোভের বসবর্তি হয়ে সতিনের মেয়ে জোনাকিকে হত্যা করে ঘরের মাঝে লুকিয়ে রাখে। বাড়ির লোকজন খোজাখুজি করে না পেয়ে থানায় ডায়েরি করতে যাওয়ার এই ফাকে সে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। তিনি আরও জানান হত্যাকারী কোহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।