ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শপথ নিয়েছেন পুতিন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় Logo অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হবে- তথ্যমন্ত্রী Logo মানব পাচারের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি Logo রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী Logo ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে রাফা, মুহুর্মুহু হামলা Logo শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের ব‍্যাপক গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত Logo কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারিভাবে ধান, চাল, গম ক্রয়ের উদ্বোধন Logo শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় প্রান গেল গৃহবধুর,আহত ৩ Logo শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসভবনের সামনে বোমা বিস্ফোরণ Logo বর্ষা কিংবা বজ্রপাতে কই মাছ কেন মাটির উপরে উঠে আসে

বুয়েটে জঙ্গি রাজনীতির প্রমাণ পেলে অ্যাকশন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)কে অপরাজনীতির কারখানা বানানো হচ্ছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বুয়েটের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। বুয়েটকে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সরকার অ্যাকশনে যাবে। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত সাংগঠনিক জেলাসমূহের নেতৃবৃন্দ, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যবৃন্দ এবং দলীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটের ঘটনা তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। সেখানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হবে। এটা যাতে না হয়, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। এরকম কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।

বুয়েটে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলছি। বুয়েটে আবরার হত্যায় কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে নেতাকর্মীদের দণ্ড হয়েছে, কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুয়েটে সেদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না আর আমি রাজনীতি করি বলে বুয়েটে যেতে পারবো না- এটা কোন ধরনের আইন? কোন ধরনের নিয়ম? মতবিনিময় সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ  করতে পারবে না। আমরা এমপি-মন্ত্রী সাহেবরা যদি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকি তাহলে বিনা প্রতীকে নির্বাচন করার যে উদ্দেশ্য নেত্রী করেছেন- তা সার্থক হবে।

তিনি বলেন, কেউ ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। যার নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে করবেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণ যাকে ইচ্ছা নির্বাচিত করবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, যদি কোনো অনিয়ম দেখে তাহলে তারা ব্যবস্থা নেবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা নির্বাচন। কাজেই আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ভালোভাবেই চলছে সবকিছু। এর মধ্যে দায়িত্বশীলদের এমন কিছু কথাবার্তা দলকে সংকটে ফেলে। ফ্রি স্টাইলে যা কিছু বলবেন- এটা তো আওয়ামী লীগ নয়। দলের গঠনতন্ত্র ও নিয়মকানুন আছে। এগুলোর অ্যাকশন আমরা নেব। ইতিমধ্যেই কিছু অ্যাকশনও নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা বিভিন্নজন কেউ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন, আবার কেউ ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেন। সেই পাকিস্তানি আমল থেকে যে ভাষায় আইয়ুব খান কথা বলেছে, আজকে সেই ভাষায় কথা বলছে বিএনপি। তাদের সব ইস্যুই মার খেয়েছে ভোটে পরাজিত হয়ে। এখন তাদের ইস্যু ভারত বিরোধিতা। এন্টি ইন্ডিয়া ফোভিয়া তৈরি করার ইস্যু খুঁজে নিয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিতর্কের জবাবটা আমরা মোটা দাগে বলি, পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না। তাহলে এম এ মান্নান, সন্দীপ এরাও তো স্বাধীনতার ঘোষক! তারপরও বড় কথা এ ঘোষণার বৈধ অধিকার কার ছিল? বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার ছিল না। সে ম্যান্ডেট ’৭০-এর  নির্বাচনে জনগণ তাকে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিগ্যাসি। বঙ্গবন্ধুর পর আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের লিগ্যাসি হিসেবে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। এই জনপদে সবার মৃত্যু হবে। নশ্বর পৃথিবীতে কিছুই অবিনশ্বর নয়। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, শেখ হাসিনাও থাকবেন না। কিন্তু তাদের উত্তরাধিকারের কোনোদিনও মৃত্যু হবে না।

রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। আর তারা এখন রিজার্ভ নিয়ে কটাক্ষ করে। যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, ঈদ উপলক্ষে সে রিজার্ভ  আরও বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। তারা না জেনে শুনেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে। বাজার দর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু পণ্যের দাম কমেছে। বাজার উঠানামা করবেই। বিশ্ব সংকট এর জন্য দায়ী, আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই এ সংকট অতিক্রম করার সাহস আমরা পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ এ সংকট কেটে যাবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্মেলন করে সেখানে কমিটি গঠন করা হবে। আমরা সম্মেলন করে কমিটি করতে চাই। কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি,  সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান ও উপ- দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শপথ নিয়েছেন পুতিন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয়

বুয়েটে জঙ্গি রাজনীতির প্রমাণ পেলে অ্যাকশন

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)কে অপরাজনীতির কারখানা বানানো হচ্ছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বুয়েটের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। বুয়েটকে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সরকার অ্যাকশনে যাবে। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত সাংগঠনিক জেলাসমূহের নেতৃবৃন্দ, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যবৃন্দ এবং দলীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটের ঘটনা তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। সেখানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হবে। এটা যাতে না হয়, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। এরকম কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।

বুয়েটে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলছি। বুয়েটে আবরার হত্যায় কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে নেতাকর্মীদের দণ্ড হয়েছে, কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুয়েটে সেদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না আর আমি রাজনীতি করি বলে বুয়েটে যেতে পারবো না- এটা কোন ধরনের আইন? কোন ধরনের নিয়ম? মতবিনিময় সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ  করতে পারবে না। আমরা এমপি-মন্ত্রী সাহেবরা যদি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকি তাহলে বিনা প্রতীকে নির্বাচন করার যে উদ্দেশ্য নেত্রী করেছেন- তা সার্থক হবে।

তিনি বলেন, কেউ ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। যার নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে করবেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণ যাকে ইচ্ছা নির্বাচিত করবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, যদি কোনো অনিয়ম দেখে তাহলে তারা ব্যবস্থা নেবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা নির্বাচন। কাজেই আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ভালোভাবেই চলছে সবকিছু। এর মধ্যে দায়িত্বশীলদের এমন কিছু কথাবার্তা দলকে সংকটে ফেলে। ফ্রি স্টাইলে যা কিছু বলবেন- এটা তো আওয়ামী লীগ নয়। দলের গঠনতন্ত্র ও নিয়মকানুন আছে। এগুলোর অ্যাকশন আমরা নেব। ইতিমধ্যেই কিছু অ্যাকশনও নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা বিভিন্নজন কেউ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন, আবার কেউ ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেন। সেই পাকিস্তানি আমল থেকে যে ভাষায় আইয়ুব খান কথা বলেছে, আজকে সেই ভাষায় কথা বলছে বিএনপি। তাদের সব ইস্যুই মার খেয়েছে ভোটে পরাজিত হয়ে। এখন তাদের ইস্যু ভারত বিরোধিতা। এন্টি ইন্ডিয়া ফোভিয়া তৈরি করার ইস্যু খুঁজে নিয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিতর্কের জবাবটা আমরা মোটা দাগে বলি, পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না। তাহলে এম এ মান্নান, সন্দীপ এরাও তো স্বাধীনতার ঘোষক! তারপরও বড় কথা এ ঘোষণার বৈধ অধিকার কার ছিল? বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার ছিল না। সে ম্যান্ডেট ’৭০-এর  নির্বাচনে জনগণ তাকে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিগ্যাসি। বঙ্গবন্ধুর পর আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের লিগ্যাসি হিসেবে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। এই জনপদে সবার মৃত্যু হবে। নশ্বর পৃথিবীতে কিছুই অবিনশ্বর নয়। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, শেখ হাসিনাও থাকবেন না। কিন্তু তাদের উত্তরাধিকারের কোনোদিনও মৃত্যু হবে না।

রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। আর তারা এখন রিজার্ভ নিয়ে কটাক্ষ করে। যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, ঈদ উপলক্ষে সে রিজার্ভ  আরও বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। তারা না জেনে শুনেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে। বাজার দর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু পণ্যের দাম কমেছে। বাজার উঠানামা করবেই। বিশ্ব সংকট এর জন্য দায়ী, আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই এ সংকট অতিক্রম করার সাহস আমরা পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ এ সংকট কেটে যাবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্মেলন করে সেখানে কমিটি গঠন করা হবে। আমরা সম্মেলন করে কমিটি করতে চাই। কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি,  সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান ও উপ- দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।