আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের দাম দ্বিতীয় দফায় ডিজেল ও কেরোসিনে লিটারে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমেছে। তবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। প্রতি লিটার ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রোল আগের মতোই ১২২ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। গতকাল জ্বালানি তেলের দাম এই হারে পুনঃনির্ধারণ করে  প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। যা ১লা এপ্রিল থেকেই নতুন দরে তেল মিলবে পাম্পে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফর্মুলা বা গাইডলাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা, কেরোসিন ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। এদিকে অকটেনের দাম লিটারপ্রতি আগের মতোই ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২২ টাকা অপরিবর্তিত রেখে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

এর আগে সরকার গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ই মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল। এর আগে গত ৭ই মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়। অকটেন ও পেট্রোল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়। ডিজেলের দাম কমায় বাস, ট্রাক ও নৌযানের ভাড়া সামান্য হলেও কমানোর সুযোগ তৈরি হলো।