ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শপথ নিয়েছেন পুতিন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় Logo অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হবে- তথ্যমন্ত্রী Logo মানব পাচারের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি Logo রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী Logo ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে রাফা, মুহুর্মুহু হামলা Logo শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের ব‍্যাপক গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত Logo কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারিভাবে ধান, চাল, গম ক্রয়ের উদ্বোধন Logo শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় প্রান গেল গৃহবধুর,আহত ৩ Logo শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসভবনের সামনে বোমা বিস্ফোরণ Logo বর্ষা কিংবা বজ্রপাতে কই মাছ কেন মাটির উপরে উঠে আসে

চিকিৎসক সংকটে কুড়িগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতাল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত। এখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপচর। দারিদ্র্য পীড়িত এ জেলায় ২৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল। চিকিৎসক সংকটে পড়েছে সরকারি এ হাসপাতালটি। দীর্ঘ আট বছর ধরে নেই চক্ষু চিকিৎসক। চিকিৎসকের অভাবে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। চোখের চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। জানা গেছে, হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে চলছে চিকিৎসক সংকট। বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসক, অর্থোপেডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসকের গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে চক্ষু চিকিৎসক একজনও নেই।

অর্থোপেডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসক রয়েছে মাত্র একজন করে। এ ছাড়া নেই নাক, কান, গলা, প্যাথলজি, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে চিকিৎসকের চাহিদা প্রতি বছর পাঠানো হলেও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সংকট দূর হচ্ছে না। চোখের চিকিৎসা নিতে আসা শারমিন বেগম ও নজরুল ইসলাম বলেন, চোখে ছানি পড়েছিল। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চোখের অপারেশন করে নিয়েছি। প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাসপাতালে একজন চোখের চিকিৎসক থাকতো তাহলে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। কল্পনা রানী বলেন, বাড়ির পাশে এত বড় হাসপাতাল অথচ চোখের ডাক্তার নেই। গত তিন দিন ধরে চোখের তীব্র ব্যথা ডাক্তার না থাকায় এখন চিকিৎসা নিতে রংপুর যেতে হবে। এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. শাহীনুর রহমান সর্দার বলেন, আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চক্ষু চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শপথ নিয়েছেন পুতিন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয়

চিকিৎসক সংকটে কুড়িগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতাল

আপডেট সময় ১২:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত। এখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপচর। দারিদ্র্য পীড়িত এ জেলায় ২৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল। চিকিৎসক সংকটে পড়েছে সরকারি এ হাসপাতালটি। দীর্ঘ আট বছর ধরে নেই চক্ষু চিকিৎসক। চিকিৎসকের অভাবে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। চোখের চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। জানা গেছে, হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে চলছে চিকিৎসক সংকট। বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসক, অর্থোপেডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসকের গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে চক্ষু চিকিৎসক একজনও নেই।

অর্থোপেডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসক রয়েছে মাত্র একজন করে। এ ছাড়া নেই নাক, কান, গলা, প্যাথলজি, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে চিকিৎসকের চাহিদা প্রতি বছর পাঠানো হলেও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সংকট দূর হচ্ছে না। চোখের চিকিৎসা নিতে আসা শারমিন বেগম ও নজরুল ইসলাম বলেন, চোখে ছানি পড়েছিল। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চোখের অপারেশন করে নিয়েছি। প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাসপাতালে একজন চোখের চিকিৎসক থাকতো তাহলে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। কল্পনা রানী বলেন, বাড়ির পাশে এত বড় হাসপাতাল অথচ চোখের ডাক্তার নেই। গত তিন দিন ধরে চোখের তীব্র ব্যথা ডাক্তার না থাকায় এখন চিকিৎসা নিতে রংপুর যেতে হবে। এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. শাহীনুর রহমান সর্দার বলেন, আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চক্ষু চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।