সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত। এখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপচর। দারিদ্র্য পীড়িত এ জেলায় ২৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল। চিকিৎসক সংকটে পড়েছে সরকারি এ হাসপাতালটি। দীর্ঘ আট বছর ধরে নেই চক্ষু চিকিৎসক। চিকিৎসকের অভাবে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। চোখের চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। জানা গেছে, হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে চলছে চিকিৎসক সংকট। বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসক, অর্থোপেডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসকের গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে চক্ষু চিকিৎসক একজনও নেই।
অর্থোপেডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসক রয়েছে মাত্র একজন করে। এ ছাড়া নেই নাক, কান, গলা, প্যাথলজি, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে চিকিৎসকের চাহিদা প্রতি বছর পাঠানো হলেও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সংকট দূর হচ্ছে না। চোখের চিকিৎসা নিতে আসা শারমিন বেগম ও নজরুল ইসলাম বলেন, চোখে ছানি পড়েছিল। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চোখের অপারেশন করে নিয়েছি। প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাসপাতালে একজন চোখের চিকিৎসক থাকতো তাহলে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। কল্পনা রানী বলেন, বাড়ির পাশে এত বড় হাসপাতাল অথচ চোখের ডাক্তার নেই। গত তিন দিন ধরে চোখের তীব্র ব্যথা ডাক্তার না থাকায় এখন চিকিৎসা নিতে রংপুর যেতে হবে। এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. শাহীনুর রহমান সর্দার বলেন, আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চক্ষু চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।