ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

যশোরে সন্ত্রাসীদের হাতে অপর এক সন্ত্রাসী খুন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

যশোরে জুম্মান (৩৮) নামে এক সন্ত্রাসী খুন হয়েছে। নিহত জুম্মান শহরের শংকরপুর রেলগেট মোড়ের পকেটমার মুরাদ হোসেনের ছেলে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে জুম্মান খুন হয়। নিহত জুম্মানের নামে কোতোয়ালি থানায় প্রায় ডজন মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় জুম্মানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে ভাইপো রাকিব, প্রিন্স, ট্যাটু সুমন, আসিফ ভোলাসহ কয়েকজন। এরপর তাকে তাড়া করে নিয়ে যায়। জুম্মান দৌড়ে রেলস্টেশন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠুর অফিসের সামনে পৌঁছুলে পেছন থেকে পিঠে ছুরিকাঘাত করে। জুম্মান পড়ে গেলে পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আরও ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সূত্রটি আরও জানায়, অস্ত্র ও মাদকের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে জুম্মানের সঙ্গে ভাইপো রাকিব, প্রিন্স, রনি, ভোলা, ট্যাটো সুমন, আসিফ ও খোলাডাঙ্গার আকিবুরসহ বেশ কয়েকজনের বিরোধ ছিল। এ কারণে জুম্মান দীর্ঘদিন মাগুরায় পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি জুম্মান যশোর আসলে খুনের শিকার হয়।
জুম্মানের ভাই মামুন হোসেন জানায়, জুম্মানের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। জুম্মান পানের ব্যবসা করতেন। সন্ধ্যায় তার মোবাইলে ফোন আসলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। চাঁচড়া ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আব্দুল আলিম জানান, জুম্মানের নামে কোতোয়ালি থানায় প্রায় অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে খুনিদের আটকে পুলিশ রাত থেকেই অভিযান শুরু করেছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

যশোরে সন্ত্রাসীদের হাতে অপর এক সন্ত্রাসী খুন

আপডেট সময় ০১:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যশোরে জুম্মান (৩৮) নামে এক সন্ত্রাসী খুন হয়েছে। নিহত জুম্মান শহরের শংকরপুর রেলগেট মোড়ের পকেটমার মুরাদ হোসেনের ছেলে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে জুম্মান খুন হয়। নিহত জুম্মানের নামে কোতোয়ালি থানায় প্রায় ডজন মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় জুম্মানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে ভাইপো রাকিব, প্রিন্স, ট্যাটু সুমন, আসিফ ভোলাসহ কয়েকজন। এরপর তাকে তাড়া করে নিয়ে যায়। জুম্মান দৌড়ে রেলস্টেশন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠুর অফিসের সামনে পৌঁছুলে পেছন থেকে পিঠে ছুরিকাঘাত করে। জুম্মান পড়ে গেলে পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আরও ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সূত্রটি আরও জানায়, অস্ত্র ও মাদকের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে জুম্মানের সঙ্গে ভাইপো রাকিব, প্রিন্স, রনি, ভোলা, ট্যাটো সুমন, আসিফ ও খোলাডাঙ্গার আকিবুরসহ বেশ কয়েকজনের বিরোধ ছিল। এ কারণে জুম্মান দীর্ঘদিন মাগুরায় পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি জুম্মান যশোর আসলে খুনের শিকার হয়।
জুম্মানের ভাই মামুন হোসেন জানায়, জুম্মানের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। জুম্মান পানের ব্যবসা করতেন। সন্ধ্যায় তার মোবাইলে ফোন আসলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। চাঁচড়া ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আব্দুল আলিম জানান, জুম্মানের নামে কোতোয়ালি থানায় প্রায় অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে খুনিদের আটকে পুলিশ রাত থেকেই অভিযান শুরু করেছে।