ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শপথ নিয়েছেন পুতিন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় Logo অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হবে- তথ্যমন্ত্রী Logo মানব পাচারের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি Logo রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী Logo ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে রাফা, মুহুর্মুহু হামলা Logo শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের ব‍্যাপক গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত Logo কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারিভাবে ধান, চাল, গম ক্রয়ের উদ্বোধন Logo শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় প্রান গেল গৃহবধুর,আহত ৩ Logo শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসভবনের সামনে বোমা বিস্ফোরণ Logo বর্ষা কিংবা বজ্রপাতে কই মাছ কেন মাটির উপরে উঠে আসে

রপ্তানিতে নয়া শঙ্কা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

হঠাৎ করে রপ্তানিতে প্রণোদনা ও ভর্তুকির হার কমিয়েছে সরকার। আগের হারের চেয়ে গড়ে ০.৫০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ প্রণোদনা কমেছে। রপ্তানি বাড়াতে বর্তমানে ৪৩টি খাতে বিভিন্ন হারে প্রণোদনা দেয়া হয়। প্রায় সব খাতেই এ হার কমানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকরা সহ সার্বিক রপ্তানি খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে ডলার সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, বৈশ্বিক ও দেশীয় সংকটে বর্তমানে রপ্তানি খাত বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। দেশের বাজারে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে রপ্তানি পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এর মধ্যে ভর্তুকি কমানো হলে রপ্তানিকারকদের আরও নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে বলে ব্যবসায়ীরা বলেছেন।
নিট পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, রপ্তানির সহায়তা কমানো হয়েছে এটার চেয়ে বড় সমস্যা কয়েকটি ক্যাটাগরির পণ্য সহায়তা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তার মানে টি-শার্টসহ রপ্তানির বড় সব পণ্যে সুবিধা থাকছে না।

হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত না নিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে জানালে ব্যবসায়ীরা সে আলোকে অর্ডার নিতেন। এতে করে রপ্তানিকারকরা নিরুৎসাহিত হবেন। রপ্তানি কমবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি খাতে রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদান করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে বিষয়টি রপ্তানি নির্ভর সাবসিডি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা প্রদান করা যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। এরূপ উত্তরণ পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে হ্রাসের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ৪৩টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাবে। আগের বছরও এই ৪৩টি পণ্য সহায়তা পেয়েছে। এসব পণ্যের বিপরীতে ০.৫০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যেখানে আগের বছরে রপ্তানিকারকরা সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত সহায়তা পেতেন।

পণ্যগুলোর মধ্যে কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, বৈচিত্র্যকৃত পাট, আলু এবং হালাল মাংস রপ্তানিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ সহায়তা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে ৩ শতাংশ, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৪ শতাংশ, নতুন পণ্য, নতুন বাজারে (বস্ত্র খাত) ৩ শতাংশ তবে ইউরো অঞ্চলে বস্ত্রখাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৩ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ১ শতাংশ, তৈরি পোশাক খাতে বিশেষ নগদ সহায়তা দশমিক ৫০ শতাংশ, পাটজাত চূড়ান্ত দ্রব্যে ৭ শতাংশ, পাটসুতায় ৫ শতাংশ এবং চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানিতে ১২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শপথ নিয়েছেন পুতিন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয়

রপ্তানিতে নয়া শঙ্কা

আপডেট সময় ০১:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হঠাৎ করে রপ্তানিতে প্রণোদনা ও ভর্তুকির হার কমিয়েছে সরকার। আগের হারের চেয়ে গড়ে ০.৫০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ প্রণোদনা কমেছে। রপ্তানি বাড়াতে বর্তমানে ৪৩টি খাতে বিভিন্ন হারে প্রণোদনা দেয়া হয়। প্রায় সব খাতেই এ হার কমানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকরা সহ সার্বিক রপ্তানি খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে ডলার সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, বৈশ্বিক ও দেশীয় সংকটে বর্তমানে রপ্তানি খাত বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। দেশের বাজারে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে রপ্তানি পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এর মধ্যে ভর্তুকি কমানো হলে রপ্তানিকারকদের আরও নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে বলে ব্যবসায়ীরা বলেছেন।
নিট পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, রপ্তানির সহায়তা কমানো হয়েছে এটার চেয়ে বড় সমস্যা কয়েকটি ক্যাটাগরির পণ্য সহায়তা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তার মানে টি-শার্টসহ রপ্তানির বড় সব পণ্যে সুবিধা থাকছে না।

হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত না নিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে জানালে ব্যবসায়ীরা সে আলোকে অর্ডার নিতেন। এতে করে রপ্তানিকারকরা নিরুৎসাহিত হবেন। রপ্তানি কমবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি খাতে রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদান করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে বিষয়টি রপ্তানি নির্ভর সাবসিডি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা প্রদান করা যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। এরূপ উত্তরণ পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে হ্রাসের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ৪৩টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাবে। আগের বছরও এই ৪৩টি পণ্য সহায়তা পেয়েছে। এসব পণ্যের বিপরীতে ০.৫০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যেখানে আগের বছরে রপ্তানিকারকরা সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত সহায়তা পেতেন।

পণ্যগুলোর মধ্যে কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, বৈচিত্র্যকৃত পাট, আলু এবং হালাল মাংস রপ্তানিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ সহায়তা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে ৩ শতাংশ, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৪ শতাংশ, নতুন পণ্য, নতুন বাজারে (বস্ত্র খাত) ৩ শতাংশ তবে ইউরো অঞ্চলে বস্ত্রখাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৩ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ১ শতাংশ, তৈরি পোশাক খাতে বিশেষ নগদ সহায়তা দশমিক ৫০ শতাংশ, পাটজাত চূড়ান্ত দ্রব্যে ৭ শতাংশ, পাটসুতায় ৫ শতাংশ এবং চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানিতে ১২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে।