ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

২০২৩ এশিয়া কাপে সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। বিদায় নেয় গ্রুপপর্ব থেকেই। সিনিয়ররা ব্যর্থ হলেও অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সাফল্য পেলো জুনিয়র টাইগাররা। ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতলো মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল। ছেলেদের এশিয়া কাপে যে কোনো পর্যায়ে বাংলাদেশের পাওয়া প্রথম সাফল্য এটি। দুবাইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আশিকুর রহমান শিবলীর সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৮২ রান তোলে বাংলাদেশ। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট করে দেয় মারুফ মৃধা এবং রোহানতদৌল্লা বর্ষণরা।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৭ রান করে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার জিসান আলম। শুরুর ধাক্কা সামলে দুটি বড় জুটি উপহার দেয় জুনিয়র টাইগাররা। প্রথমে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ১২৫ রান তোলেন আশিকুর রহমান শিবলী।

এরপর রিজওয়ান ৭১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রান তুলে আউট হলে শিবলীর সঙ্গী হন আরিফুল ইসলাম। এবার ৮৬ রানের জুটি পায় বাংলাদেশ। আরিফুল ৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫০ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

৩ উইকেটে ২২৫ রান তোলা বাংলাদেশ এরপর বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় সংগ্রহে ৫৭ রান যোগ করতেই হারায় আরো ৫ উইকেট। এরমধ্যে আহরার আমিন ৫, মোহাম্মদ শিহাব জেমস ৩, অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বী ২১ এবং রোহানতদৌল্লা বর্ষণ ০ রানে আউট হন। ওপেনিংয়ে নেমে সপ্তম উইকেট পর্যন্ত টিকে থাকা আশিকুর রহমান শিবলী ১৪৯ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১২৯ রান তুলে ম্যাচ সেরা হন। বাংলাদেশের ইনিংসে ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আরব আমিরাতের ডান হাতি পেসার আয়ান আহমেদ। দু’টি উইকেট নেন উমিদ রেহমান।

রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর্যাংশ শর্মা এবং অক্ষত রাইকে ফিরিয়ে বোলিংয়ে দাপুটে শুরু করেন মারুফ মৃধা। বাংলাদেশের বাঁ হাতি এই পেসারের শিকার হওয়ার আগে শর্মা ৯ এবং রাই ১১ রান করেন। দলীয় ২৮ রানে দুই উইকেট হারায় ইউএই। এরপর টানা তিন উইকেট নেন রোহানতদৌল্লা বর্ষণ। দলীয় ৩৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওয়ানডাউন ব্যাটার তানিশ সুরিকে ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান বর্ষণ। ৯.৩ ওভারে ফিরে ইথান ডি’সুজাকে (৪) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন এই বাংলাদেশি পেসার।

১১.৬ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক আয়ান আফজাল খানকে ৫ রানে ফেরান বর্ষণ। ৬ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। তিনটি উইকেট পান মারুফ মৃধাও। ৭ ওভারে ২৯ রান খরচ করেন আসরের যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ (১০) উইকেট শিকারী এই বাঁহাতি পেসার। দুটি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন এবং শেখ পারভেজ জীবন। আরব আমিরাতের ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন চারে নামা ধ্রুব পারাসার। ৪০ বলের অপরাজিত ইনিংসটিতে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান এই ডান হাতি ব্যাটার। ধ্রুব এবং ওপেনার আকশত বাদে আর কেউই ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের কোঠা। ‘ডাক’ রয়েছে দুটি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০১:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

২০২৩ এশিয়া কাপে সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। বিদায় নেয় গ্রুপপর্ব থেকেই। সিনিয়ররা ব্যর্থ হলেও অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সাফল্য পেলো জুনিয়র টাইগাররা। ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতলো মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল। ছেলেদের এশিয়া কাপে যে কোনো পর্যায়ে বাংলাদেশের পাওয়া প্রথম সাফল্য এটি। দুবাইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আশিকুর রহমান শিবলীর সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৮২ রান তোলে বাংলাদেশ। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট করে দেয় মারুফ মৃধা এবং রোহানতদৌল্লা বর্ষণরা।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৭ রান করে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার জিসান আলম। শুরুর ধাক্কা সামলে দুটি বড় জুটি উপহার দেয় জুনিয়র টাইগাররা। প্রথমে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ১২৫ রান তোলেন আশিকুর রহমান শিবলী।

এরপর রিজওয়ান ৭১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রান তুলে আউট হলে শিবলীর সঙ্গী হন আরিফুল ইসলাম। এবার ৮৬ রানের জুটি পায় বাংলাদেশ। আরিফুল ৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫০ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

৩ উইকেটে ২২৫ রান তোলা বাংলাদেশ এরপর বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় সংগ্রহে ৫৭ রান যোগ করতেই হারায় আরো ৫ উইকেট। এরমধ্যে আহরার আমিন ৫, মোহাম্মদ শিহাব জেমস ৩, অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বী ২১ এবং রোহানতদৌল্লা বর্ষণ ০ রানে আউট হন। ওপেনিংয়ে নেমে সপ্তম উইকেট পর্যন্ত টিকে থাকা আশিকুর রহমান শিবলী ১৪৯ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১২৯ রান তুলে ম্যাচ সেরা হন। বাংলাদেশের ইনিংসে ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আরব আমিরাতের ডান হাতি পেসার আয়ান আহমেদ। দু’টি উইকেট নেন উমিদ রেহমান।

রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর্যাংশ শর্মা এবং অক্ষত রাইকে ফিরিয়ে বোলিংয়ে দাপুটে শুরু করেন মারুফ মৃধা। বাংলাদেশের বাঁ হাতি এই পেসারের শিকার হওয়ার আগে শর্মা ৯ এবং রাই ১১ রান করেন। দলীয় ২৮ রানে দুই উইকেট হারায় ইউএই। এরপর টানা তিন উইকেট নেন রোহানতদৌল্লা বর্ষণ। দলীয় ৩৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওয়ানডাউন ব্যাটার তানিশ সুরিকে ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান বর্ষণ। ৯.৩ ওভারে ফিরে ইথান ডি’সুজাকে (৪) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন এই বাংলাদেশি পেসার।

১১.৬ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক আয়ান আফজাল খানকে ৫ রানে ফেরান বর্ষণ। ৬ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। তিনটি উইকেট পান মারুফ মৃধাও। ৭ ওভারে ২৯ রান খরচ করেন আসরের যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ (১০) উইকেট শিকারী এই বাঁহাতি পেসার। দুটি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন এবং শেখ পারভেজ জীবন। আরব আমিরাতের ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন চারে নামা ধ্রুব পারাসার। ৪০ বলের অপরাজিত ইনিংসটিতে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান এই ডান হাতি ব্যাটার। ধ্রুব এবং ওপেনার আকশত বাদে আর কেউই ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের কোঠা। ‘ডাক’ রয়েছে দুটি।