ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

স্বর্ণের চালানসহ আটক ৩

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে এক কেজি ওজনের ১০টি স্বর্ণের বারসহ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের বিএসএফের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিএসএফ জানায়, এই তিন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশ কাস্টমস পার হয়ে পেট্রাপোল চেকপোস্টে এলে তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করা হয়। একপর্যায়ে মেশিনের মাধ্যমে তাদের পেটের মধ্যে সোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে পায়ুপথে ১০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৬৫ লাখ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক কোটি। আটককৃতরা পায়ুপথে স্বর্ণের চালানটি বহন করছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ভারতের বনগাঁ মহকুমার পেট্রাপোল থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- শরীয়তপুরের চিকান্দী উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের রাজ্জাক মুন্সীর ছেলে আবু বক্কর মুন্সী, ঢাকার ওয়াদালোদী তুরাগ এলাকার রুস্তম শেখের মেয়ে পারভীন আক্তার (৪৪) ও মানিকগঞ্জ সদর এলাকার তারা গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৬)।

এর আগে ১৮ই ফেব্রুয়ারি আড়াই কেজি ওজনের ২২টি স্বর্ণের বারসহ আমদানি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক চালক রাজু দাস ও সঞ্জীব দাসকে আটক করে বিএসএফ। একইদিনে পাসপোর্টধারী যাত্রী রিবা উদ্দিনকে তিনটি স্বর্ণের বারসহ আটক করে। এ ছাড়া গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি ৮৫০ গ্রাম ওজনের সোনার বারসহ আবু বক্কর হানিফা ও জিয়া উদ্দীন নামে দুই ভারতীয় পাসপোর্টধারীকে আটক করে ভারতের সীমান্তরক্ষীরা। গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি নাজরীন নাহার নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী পায়ুপথে লুকিয়ে পাচারের সময় চার পিস স্বর্ণের বারসহ আটক করে।

ভারতের ২৪ পরগনা সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য অপরাধ ঘটতে দেবে না। এরসঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেবে না বিএসএফ। চোরাচালান প্রতিরোধে সহযোগিতা কামনা করছে বিএসএফ। অভিযোগ উঠেছে, এসব পাচার কার্যক্রমে কাস্টমসের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের সখ্যতা আছে। ফলে স্ক্যানিং মেশিন মেরামত বা যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশিতে অনীহা রয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চারটি স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। একটি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন করা হয় বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। এ ছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট ও রেলস্টেশনে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন-কাস্টমস রুটে চোরাচালান রোধে আরও তিনটি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়। স্ক্যানিং মেশিনটি কাস্টমসের পক্ষে পরিচালনা করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস। তবে স্ক্যানিং মেশিনগুলোর মধ্যে তিনটি যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ায় গত চার মাস ধরে স্ক্যানিং কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে এ পথে। এতে অবাধে আমদানি পণ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চোরাচালান ব্যাপকহারে বেড়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচলকারী পরিবহনগুলোতে অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে চোরাচালানে।

স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটসের বেনাপোল অফিস ব্যবস্থাপক বনি আমিন বলেন, স্ক্যানিং মেরামত করতে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন। চুক্তি অনুযায়ী কাস্টমস তার ব্যয় বহন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্ক্যানিং মেশিন তিনটির কার্যক্রম বন্ধ আছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

স্বর্ণের চালানসহ আটক ৩

আপডেট সময় ০১:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে এক কেজি ওজনের ১০টি স্বর্ণের বারসহ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের বিএসএফের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিএসএফ জানায়, এই তিন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশ কাস্টমস পার হয়ে পেট্রাপোল চেকপোস্টে এলে তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করা হয়। একপর্যায়ে মেশিনের মাধ্যমে তাদের পেটের মধ্যে সোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে পায়ুপথে ১০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৬৫ লাখ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক কোটি। আটককৃতরা পায়ুপথে স্বর্ণের চালানটি বহন করছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ভারতের বনগাঁ মহকুমার পেট্রাপোল থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- শরীয়তপুরের চিকান্দী উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের রাজ্জাক মুন্সীর ছেলে আবু বক্কর মুন্সী, ঢাকার ওয়াদালোদী তুরাগ এলাকার রুস্তম শেখের মেয়ে পারভীন আক্তার (৪৪) ও মানিকগঞ্জ সদর এলাকার তারা গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৬)।

এর আগে ১৮ই ফেব্রুয়ারি আড়াই কেজি ওজনের ২২টি স্বর্ণের বারসহ আমদানি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক চালক রাজু দাস ও সঞ্জীব দাসকে আটক করে বিএসএফ। একইদিনে পাসপোর্টধারী যাত্রী রিবা উদ্দিনকে তিনটি স্বর্ণের বারসহ আটক করে। এ ছাড়া গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি ৮৫০ গ্রাম ওজনের সোনার বারসহ আবু বক্কর হানিফা ও জিয়া উদ্দীন নামে দুই ভারতীয় পাসপোর্টধারীকে আটক করে ভারতের সীমান্তরক্ষীরা। গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি নাজরীন নাহার নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী পায়ুপথে লুকিয়ে পাচারের সময় চার পিস স্বর্ণের বারসহ আটক করে।

ভারতের ২৪ পরগনা সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য অপরাধ ঘটতে দেবে না। এরসঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেবে না বিএসএফ। চোরাচালান প্রতিরোধে সহযোগিতা কামনা করছে বিএসএফ। অভিযোগ উঠেছে, এসব পাচার কার্যক্রমে কাস্টমসের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের সখ্যতা আছে। ফলে স্ক্যানিং মেশিন মেরামত বা যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশিতে অনীহা রয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চারটি স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। একটি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন করা হয় বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। এ ছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট ও রেলস্টেশনে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন-কাস্টমস রুটে চোরাচালান রোধে আরও তিনটি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়। স্ক্যানিং মেশিনটি কাস্টমসের পক্ষে পরিচালনা করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস। তবে স্ক্যানিং মেশিনগুলোর মধ্যে তিনটি যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ায় গত চার মাস ধরে স্ক্যানিং কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে এ পথে। এতে অবাধে আমদানি পণ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চোরাচালান ব্যাপকহারে বেড়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচলকারী পরিবহনগুলোতে অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে চোরাচালানে।

স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটসের বেনাপোল অফিস ব্যবস্থাপক বনি আমিন বলেন, স্ক্যানিং মেরামত করতে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন। চুক্তি অনুযায়ী কাস্টমস তার ব্যয় বহন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্ক্যানিং মেশিন তিনটির কার্যক্রম বন্ধ আছে।