ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নিলামে উঠছে বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তির সেই ‘ন্যাপকিন’

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

বার্সেলোনার জার্সি গায়ে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ ক্লাবটির সঙ্গে আর্জেন্টাইন লেজেন্ডের যাত্রাটা কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা সবারই জানা। ফুটবল প্রেমীরা সবাই জানেন, কীভাবে একটি ‘ন্যাপকিন পেপারে’ মেসির সঙ্গে চুক্তি করেছিল ব্লাউগ্রানারা।
আগামী মার্চে বৃটিশ অকশন হাউস বোনহামসের মাধ্যমে মেসি-বার্সেলোনার চুক্তির সেই ন্যাপকিন পেপার উঠবে নিলামে। যার ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। নিলাম প্রসঙ্গে বোনহামসের দুষ্পাপ্য বই ও পাণ্ডুলিপি বিভাগের প্রধান ইয়ান এহলিং বলেন, ‘আমি নিলাম পরিচালনা করেছি, এমন জিনিসগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে রোমাঞ্চকর। হ্যাঁ, এটি ন্যাপকিন পেপার। কিন্তু এটা সেই ন্যাপকিন পেপার, যেটার মাধ্যমে লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। এটা বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ আর মেসির জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছিল। ফুটবল বিশ্বের কোটি সমর্থককে চমৎকার মুহূর্ত উপহার দিয়েছে।’ ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর।

লিওনেল মেসির বয়স তখন ১৩ বছর। পরিবার নিয়ে বার্সেলোনায় যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফ্যাবিয়ান সোলদিনি এবং মার্তিন মনতেরো এবং স্পেনের প্রতিনিধি হোরাশিও গ্যাগিওলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দিলেন মেসি। ফলে চুক্তির আশা নিয়ে নিজ শহর রোজারিওতে ফিরলো মেসি ও তার পরিবার। বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট তখন হুয়ান গাসপার্ত। তিনি ভেবেছিলেন, তাড়াহুড়ো করে মেসির সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কিছু সময় নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গ্যাগিওলি সভাপতিকে বললেন, দ্রুত চুক্তি না হলে অন্য ক্লাবে মেসিকে নিয়ে যাবে, এমনকি হতে পারে তা রিয়াল মাদ্রিদও। এরপর হঠাৎ একদিন বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস মেসির পরিবারকে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণ করেন। সেখানেই হয় এই ঐতিহাসিক চুক্তি। রেক্সাস ছাড়াও সেই ন্যাপকিন পেপারে সই ছিল বার্সার দলবদলবিষয়ক পরামর্শক জোসেফ মিনেলা এবং অ্যাজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলির। ন্যাপকিন পেপারে সেই চুক্তিতে লেখা ছিল, ‘বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেলো।’ ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছাড়েন লিওনেল মেসি। ঠিকানা পরিবর্তনের আগে ৭৭৮ ম্যাচে বার্সার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬৭২ গোল করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। জেতেন ১০টি লা লিগা এবং ৪টি চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

নিলামে উঠছে বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তির সেই ‘ন্যাপকিন’

আপডেট সময় ০২:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বার্সেলোনার জার্সি গায়ে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ ক্লাবটির সঙ্গে আর্জেন্টাইন লেজেন্ডের যাত্রাটা কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা সবারই জানা। ফুটবল প্রেমীরা সবাই জানেন, কীভাবে একটি ‘ন্যাপকিন পেপারে’ মেসির সঙ্গে চুক্তি করেছিল ব্লাউগ্রানারা।
আগামী মার্চে বৃটিশ অকশন হাউস বোনহামসের মাধ্যমে মেসি-বার্সেলোনার চুক্তির সেই ন্যাপকিন পেপার উঠবে নিলামে। যার ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। নিলাম প্রসঙ্গে বোনহামসের দুষ্পাপ্য বই ও পাণ্ডুলিপি বিভাগের প্রধান ইয়ান এহলিং বলেন, ‘আমি নিলাম পরিচালনা করেছি, এমন জিনিসগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে রোমাঞ্চকর। হ্যাঁ, এটি ন্যাপকিন পেপার। কিন্তু এটা সেই ন্যাপকিন পেপার, যেটার মাধ্যমে লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। এটা বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ আর মেসির জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছিল। ফুটবল বিশ্বের কোটি সমর্থককে চমৎকার মুহূর্ত উপহার দিয়েছে।’ ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর।

লিওনেল মেসির বয়স তখন ১৩ বছর। পরিবার নিয়ে বার্সেলোনায় যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফ্যাবিয়ান সোলদিনি এবং মার্তিন মনতেরো এবং স্পেনের প্রতিনিধি হোরাশিও গ্যাগিওলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দিলেন মেসি। ফলে চুক্তির আশা নিয়ে নিজ শহর রোজারিওতে ফিরলো মেসি ও তার পরিবার। বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট তখন হুয়ান গাসপার্ত। তিনি ভেবেছিলেন, তাড়াহুড়ো করে মেসির সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কিছু সময় নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গ্যাগিওলি সভাপতিকে বললেন, দ্রুত চুক্তি না হলে অন্য ক্লাবে মেসিকে নিয়ে যাবে, এমনকি হতে পারে তা রিয়াল মাদ্রিদও। এরপর হঠাৎ একদিন বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস মেসির পরিবারকে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণ করেন। সেখানেই হয় এই ঐতিহাসিক চুক্তি। রেক্সাস ছাড়াও সেই ন্যাপকিন পেপারে সই ছিল বার্সার দলবদলবিষয়ক পরামর্শক জোসেফ মিনেলা এবং অ্যাজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলির। ন্যাপকিন পেপারে সেই চুক্তিতে লেখা ছিল, ‘বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেলো।’ ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছাড়েন লিওনেল মেসি। ঠিকানা পরিবর্তনের আগে ৭৭৮ ম্যাচে বার্সার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬৭২ গোল করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। জেতেন ১০টি লা লিগা এবং ৪টি চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা।