ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিশ্বকাপে সাদামাটা বোলিং বাংলাদেশের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৬:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফাইফার নেন বাংলাদেশের মারুফ মৃধা। দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও জোড়া উইকেট পান এই পেসার। শুধু মারুফ নয়, গতকাল ব্লুমফন্টেইনে আইরিশদের বিপক্ষে উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশের ৮ বোলারের ছয়জনই। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, বিশ্বকাপে ভালো বোলিং করছে জুনিয়র টাইগাররা। সত্যিই কি তাই? সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দিকে তাকালে যুব বিশ্বকাপে মাহফুজুর রহমান রাব্বীদের বোলিং একেবারেই সাদামাটা। গতকাল মারুফ-জীবনদের বোলিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে মারুফের ফাইফারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান তোলে ভারত। বোঝাই যাচ্ছে, জুনিয়র টাইগারদের বোলিং তোপ সামলে রান তুলতে বেশ বেগ পোহাতে হয়নি ভারত কিংবা আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের। অথচ এই বোলাররাই যুব এশিয়া কাপে আরো বেশি ক্ষুরধার ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল এশিয়া কাপে ৬ ম্যাচের একটিতে কেবল প্রতিপক্ষকে দুইশ’ ছোঁয়ার সুযোগ দিয়েছিল।

সেমিফাইনালে ভারতকে ১৮৮ রানে প্যাকেট করেছিল মারুফ-রাব্বীরা। জুনিয়র টাইগারদের বোলিংয়ের মোকাবিলায় মুখ থুবড়ে পড়া জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত অলআউট হয়েছিল একশ’র কোঠা ছোঁয়ার আগেই। দুই টুর্নামেন্টের চিত্র তুলনা করলেই বোঝা যায়, বিশ্বকাপে এশিয়া কাপের ক্ষুরধার বোলিং করতে পারছে না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গতকাল ব্লুমফন্টেইনে টসে জিতে আগে বোলিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের দলীয় রান একশ’র কোঠা পেরোনোর আগেই জুনিয়র টাইগাররা তুলে নেয় ৪ উইকেট। দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে মারুফ মৃধার প্রথম শিকার হওয়ার আগে ১৫ বলে ৯ রান করেন আইরিশ ওপেনার রায়ান হান্টার। ১০.২ ওভারে শেখ পারভেজ জীবনের বলে ক্যাচ তোলেন ১২ বলে ৫ রান করা গাভিন রোলসটন।

দলীয় ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এবার জর্ডান নেইলকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান রাফি। সাজঘরে ফেরার আগে আইরিশ ওপেনার ৪৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩১ রান করেন। ২৪.২ ওভারে আইরিশ অধিনায়ক ফিলিপাস লে রক্সকে ১৩ রানে আউট করেন শেখ পারভেজ জীবন। ৯৫ রানে ৪র্থ উইকেট হারানোর পরই ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন স্কট ম্যাকবেথ এবং কিয়ান হিল্টন। ম্যাকবেথ ২৭ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। দলীয় সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন হিল্টন। ১১৩ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংস সাজিয়ে মারুফ মৃধার শিকার হন তিনি। এছাড়া জন ম্যাকন্যালি ২৩ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা।  ২ উইকেট শিকার করা মারুফ মৃধা ৮ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেন। ৫৪ রানের খরচায় ২ উইকেট পান শেখ পারভেজ জীবনও। একটি করে উইকেট নেন রাফিউজ্জামান রাফি, অধিনায়ক রাব্বী এবং রোহানত দৌলা বর্ষণ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

বিশ্বকাপে সাদামাটা বোলিং বাংলাদেশের

আপডেট সময় ০১:২৬:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফাইফার নেন বাংলাদেশের মারুফ মৃধা। দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও জোড়া উইকেট পান এই পেসার। শুধু মারুফ নয়, গতকাল ব্লুমফন্টেইনে আইরিশদের বিপক্ষে উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশের ৮ বোলারের ছয়জনই। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, বিশ্বকাপে ভালো বোলিং করছে জুনিয়র টাইগাররা। সত্যিই কি তাই? সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দিকে তাকালে যুব বিশ্বকাপে মাহফুজুর রহমান রাব্বীদের বোলিং একেবারেই সাদামাটা। গতকাল মারুফ-জীবনদের বোলিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে মারুফের ফাইফারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান তোলে ভারত। বোঝাই যাচ্ছে, জুনিয়র টাইগারদের বোলিং তোপ সামলে রান তুলতে বেশ বেগ পোহাতে হয়নি ভারত কিংবা আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের। অথচ এই বোলাররাই যুব এশিয়া কাপে আরো বেশি ক্ষুরধার ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল এশিয়া কাপে ৬ ম্যাচের একটিতে কেবল প্রতিপক্ষকে দুইশ’ ছোঁয়ার সুযোগ দিয়েছিল।

সেমিফাইনালে ভারতকে ১৮৮ রানে প্যাকেট করেছিল মারুফ-রাব্বীরা। জুনিয়র টাইগারদের বোলিংয়ের মোকাবিলায় মুখ থুবড়ে পড়া জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত অলআউট হয়েছিল একশ’র কোঠা ছোঁয়ার আগেই। দুই টুর্নামেন্টের চিত্র তুলনা করলেই বোঝা যায়, বিশ্বকাপে এশিয়া কাপের ক্ষুরধার বোলিং করতে পারছে না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গতকাল ব্লুমফন্টেইনে টসে জিতে আগে বোলিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের দলীয় রান একশ’র কোঠা পেরোনোর আগেই জুনিয়র টাইগাররা তুলে নেয় ৪ উইকেট। দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে মারুফ মৃধার প্রথম শিকার হওয়ার আগে ১৫ বলে ৯ রান করেন আইরিশ ওপেনার রায়ান হান্টার। ১০.২ ওভারে শেখ পারভেজ জীবনের বলে ক্যাচ তোলেন ১২ বলে ৫ রান করা গাভিন রোলসটন।

দলীয় ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এবার জর্ডান নেইলকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান রাফি। সাজঘরে ফেরার আগে আইরিশ ওপেনার ৪৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩১ রান করেন। ২৪.২ ওভারে আইরিশ অধিনায়ক ফিলিপাস লে রক্সকে ১৩ রানে আউট করেন শেখ পারভেজ জীবন। ৯৫ রানে ৪র্থ উইকেট হারানোর পরই ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন স্কট ম্যাকবেথ এবং কিয়ান হিল্টন। ম্যাকবেথ ২৭ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। দলীয় সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন হিল্টন। ১১৩ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংস সাজিয়ে মারুফ মৃধার শিকার হন তিনি। এছাড়া জন ম্যাকন্যালি ২৩ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা।  ২ উইকেট শিকার করা মারুফ মৃধা ৮ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেন। ৫৪ রানের খরচায় ২ উইকেট পান শেখ পারভেজ জীবনও। একটি করে উইকেট নেন রাফিউজ্জামান রাফি, অধিনায়ক রাব্বী এবং রোহানত দৌলা বর্ষণ।