ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

যুবদল নেতাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

যুবদল নেতা  মো. আমিনুর রহমান মধুকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বদরুদ্দোজা বাদল, আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। পরে আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আগামী ১০ই ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। মানবাধিকার দিবস সরকার পালন তো করেই না, বরং তারা মানবাধিকারকে হরণ করছে। তার নিষ্ঠুর উদহারণ হলো হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আমিনুর রহমান মধুকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সব থেকে নির্মম হলো তার চিকিৎসা সমাপ্ত না করেই কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই যে নির্মমতার বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি। হাইকোর্ট ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে তাকে পর্যাপ্ত ও সম্পূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যারা সরকারবিরোধী মতে আছেন তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্যাতন ও নিগৃহীত করা হচ্ছে।

গত রোববার  যুবদল নেতা ও কলেজ শিক্ষক আমিনুর রহমান মধুকে চিকিৎসার সময়েও ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আমিনুর রহমানের স্ত্রী নাহিদা সুলতানা লাভনী রিটটি দায়ের করেন। রিটে যথাযথ ও সুচিকিৎসার জন্য আমিনুরকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অথবা সমমানসম্পন্ন ঢাকার অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়।

গত ২৯শে নভেম্বর যুবদল নেতাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ঘটনায় মানবজমিন প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি আদালতের কাছে সুয়োমটো (স্বপ্রণোদিত) আদেশ প্রার্থনা করেন। তখন আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেবেন না বলে রিট করার পরামর্শ দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মধুর স্ত্রী এই রিট দায়ের করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

যুবদল নেতাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

আপডেট সময় ০১:১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

যুবদল নেতা  মো. আমিনুর রহমান মধুকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বদরুদ্দোজা বাদল, আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। পরে আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আগামী ১০ই ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। মানবাধিকার দিবস সরকার পালন তো করেই না, বরং তারা মানবাধিকারকে হরণ করছে। তার নিষ্ঠুর উদহারণ হলো হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আমিনুর রহমান মধুকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সব থেকে নির্মম হলো তার চিকিৎসা সমাপ্ত না করেই কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই যে নির্মমতার বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি। হাইকোর্ট ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে তাকে পর্যাপ্ত ও সম্পূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যারা সরকারবিরোধী মতে আছেন তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্যাতন ও নিগৃহীত করা হচ্ছে।

গত রোববার  যুবদল নেতা ও কলেজ শিক্ষক আমিনুর রহমান মধুকে চিকিৎসার সময়েও ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আমিনুর রহমানের স্ত্রী নাহিদা সুলতানা লাভনী রিটটি দায়ের করেন। রিটে যথাযথ ও সুচিকিৎসার জন্য আমিনুরকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অথবা সমমানসম্পন্ন ঢাকার অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়।

গত ২৯শে নভেম্বর যুবদল নেতাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ঘটনায় মানবজমিন প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি আদালতের কাছে সুয়োমটো (স্বপ্রণোদিত) আদেশ প্রার্থনা করেন। তখন আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেবেন না বলে রিট করার পরামর্শ দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মধুর স্ত্রী এই রিট দায়ের করেন।